লাইভ প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস (বিএসপিইউএ), গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, জাতির মেরুদন্ড হিসেবে পরিচিত শিক্ষকদের উপর নির্যাতন ক্রমেই বেড়ে চলছে। গত ১৮ জুন ২০২২ নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে ।
এই ঘটনার রেশ যেতে না যেতেই ২৫ জুন ২০২২ সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশরাফুল আহসান জিতু। আহত উৎপল কুমার পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আর ২৮ জুন ২০২২ এ কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও মুক্তি এর লার্নিং সেন্টারে কর্মরত ডেইজি বড়ুয়া নামের এক শিক্ষিকাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ আলম । এসব ঘটনা শিক্ষকদের সংগঠন হিসেবে আমরা ভারাক্রান্ত, মর্মাহত, এবং ক্ষুব্ধ ।
বাংলাদেশ ধর্মীয় সহিষ্ণু দেশ হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের সহাবস্থান আমরা প্রত্যাশা করি। এ দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নড়াইলে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ইতোমধ্যে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । আমরা আশা করি, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পিছনে ইন্ধনদাতা কারা তাদের মুখোশ অচিরেই উন্মোচিত হবে ।
একজন শিক্ষক শুধু শ্রেণিতেই পাঠদান করেন তা নয়; পরিবারের পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতাও শিক্ষা দেন এবং অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন । শিক্ষকদের সেক্ষেত্রে দরকার নিরাপত্তা যাতে করে তারা সেই কাজ সঠিকভাবে করে যেতে পারেন।
দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া এসব অপরাধ মূলক ঘটনায় ও দুর্বৃত্তদের কর্মকাণ্ডে শিক্ষক পরিবারের সদস্যরাও নিরাপত্তার বিষয়ে খুব চিন্তিত। এহেন পরিস্থিতিতে এসব দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের যথাযথ শাস্তি বিধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা, ০১ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এপিজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: