লাইভ প্রতিবেদক : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা খাতুন। পড়াশোনা চলা অবস্থাতেই তার বিয়ে হয় অহছানুল্লাহ ইউনিভার্সিটির ছাত্র নাজমুল হোসেন বিদ্যুতের সঙ্গে। বিয়ের মাত্র আটমাসের মাথায় লাশ হতে হয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী স্বর্ণাকে।
স্বর্ণার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক না দেওয়ায় তােদের মেয়ের ওপর চলে নির্যাতন। একপর্যায়ে তাকে ছয়তলার ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এর আট দিন পর মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বর্ণা।
পুলিশ জানায়, বিয়ের পর স্বর্ণা ও বিদ্যুৎ যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ১১ এপ্রিল ওই বাসার নিচ থেকে স্বজনরা স্বর্ণাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মঙ্গলবার পান্থপথের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বর্ণার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি স্ত্রীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্বর্ণার মা কাজলী বেগম জানান, তার মেয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির অনার্সের ছাত্রী ছিল। আট মাস আগে আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নাজমুল হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। চলতি মাস থেকে নাজমুল যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে ঝামেলা হলে তিনি শনির আখড়ায় মেয়ের বাসায় যান। গত ১১ এপ্রিল বিকেলে নাজমুল স্বর্ণাকে ডেকে বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই জামাতা জানায়, স্বর্ণা ছাদ থেকে পড়ে গেছে। কাজলী বেগমের দাবি, নাজমুল যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার মেয়েকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, পরিবার চাইলে হত্যা মামলা করতে পারে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: