লাইভ প্রতিবেদক : নওশীন আক্তার সাবা। পড়াশোনা করতেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া বাংলাদেশে। স্বপ্নগুলো সেভাবেই বেড়ে উঠছিল। তবে স্বপ্ন ধরা দেয়ার আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে তাকে। এরপরই সব শেষ হয়ে গেছে। তাদের সুখের সংসার টেকেনি বেশিদিন। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় নানা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য। স্বামী সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার সেলিম আহমেদকে নিয়ে রাজধানীর বাড্ডায় একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন সাবা। সেই ফ্লাটেই তার সর্বনাশ হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে লাশ। প্রচার চালানো হয়েছে সাবা আত্মহত্যা করেছেন। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা নেই। সাবার স্বামী এখন পলাতক। যদি তার কোন দোষ নাই থাকে তবে তিনি কেন পলাতক রয়েছেন এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। সাবা হত্যার সঙ্গে স্বামীর সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে সাবার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। আত্মহত্যার প্রচার চালিয়ে পালিয়ে গেছে সাবার স্বামী। তারা ওই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা রাজধানীল বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করতে চেয়েছিলেন। তবে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে। এবার লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। পরিবারের সদস্যদের দাবি সাবার স্বামীকে গ্রেফতার করা হলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান সাবার বাবা প্রফেসর মাহমুদ হাসান।
এদিকে সাবাকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে জয়পুরহাটে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রান করেছেন একটি নারী সংগঠনসহ নিহত সাবার স্বজনরা । এর আগে জেলা নারী মুক্তি সংসরে উদ্দ্যোগে শহরের জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ চত্বরের সামনের প্রধান সড়কে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, নওশীন আক্তার সাবা আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছে। নওশীনের স্বামী সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার সেলিম আহমেদ ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। তারা অবিলম্বে নওশীন আক্তার সাবার হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট গ্রামের প্রফেসর মাহমুদ হাসানের মেয়ে সাবা ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া বাংলাদেশে পড়াশোনা করতেন। তিনি তার সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী সেলিম আহমদের সাথে মধ্য বাড্ডার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। গত ১২ মে রাতে সাবার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি সাবাকে মধ্যরাতে তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালিছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বাড্ডা থানা পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের আগে তারা এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা, ২৮ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: