লাইভ প্রতিবেদক : নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সময় সহিংসতা চালানো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সেরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে আহমাদ হোসাইন (১৯) ও নাজমুস সাকিব (২৪) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন দল।
নাজমুস সাকিব ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব)শিক্ষার্থী এবং আহমাদ হোসাইন কামরাঙ্গীর চরের জামিয়া নুরিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী। পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এস এস) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার রাত থেকে রাজধানীর রাজাবাজার ও কামরাঙ্গীর চরে অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। আহমাদ হোসাইনের বাবা আতাউর রহমান। বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাটে এবং নাজমুস সাকিবের বাবা জহির উদ্দিন বাবর। বাসা পূর্ব রাজাবাজারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত ঘোষ শুভর আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, আসামিরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়ার জন্য ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করে বিভিন্ন মন্তব্য করেন, যা তথ্য-প্রযুক্তি আইনের লঙ্ঘন। তাদের পেছনে আরো কারা আছে তার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। নাজমুস সাকিবের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। অন্য আসামি আহমদ হোসাইনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
ঢাকা, ১৬ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: