মুন্নি আক্তার, গণবি : দীর্ঘ ৮ বছর ধরে প্রেম করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রিয়াংকা পাল। বিয়ের কথা বলতেই এনিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। প্রথমে বয়ফ্রেন্ডের পরিবার পরে স্বয়ং বয়ফ্রেন্ড তার ঘর বাঁধার স্বপ্ন নাশ করে দিয়েছেন। যোগাযোগ বন্ধ করে অবজ্ঞা করতে শুরু করে ওই বয়ফ্রেন্ড। বিষয়টি সইতে না পেরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্রী প্রিয়াংকা পাল। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রোববার (০১ জুলাই) তিনি আত্মহত্যার ভয়ংকর পথ বেছে নেন। নিহত প্রিয়াংকার গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধামরাই থানার পাঠানতলা গ্রামে। তিনি ধামরাইয়ে অবস্থিত এনজিও প্রতিষ্ঠান সজাগের সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রিয়াংকা। সেখানে তিনি নৃত্য প্রশিক্ষক ছিলেন বলে জানা গেছে।
এনজিও প্রতিষ্ঠান সজাগের অফিসের একটি কক্ষ থেকে প্রিয়াংকার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রিয়াংকার বয়ফ্রেন্ড ছিল অমিত নামে এক যুবক। অমিত বেশ কিছুদিন যাবত প্রিয়াংকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে রাখেন। এতে ভেঙ্গে পড়েন প্রিয়াংকা। প্রিয়াংকার ছোট ভাই আশুতোশ পাল এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এটি আত্মহত্যা নয় হত্যা বলে দাবি করেছেন।
জানা গেছে, প্রিয়াংকা আত্মহত্যার আগে চিরকুটে নিজের প্রেমিক অমিতের ঠিকানা লিখে গেছেন। এছাড়া ধারণা করা হচ্ছে অমিতের কাছে প্রিয়াংকার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ছিল। তাই কৌশলে অমিত প্রিয়াংকার ও নিজের ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করেছে। কারণ ফেসবুকে অমিতের আইডিও খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
ধামরাই থানার ওসি রিজাউল হক জানান, আমরা ইতমধ্যে অপমৃত্যুর আলামত পেয়েছি। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা, ০২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: