লাইভ প্রতিবেদক : মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আদনান খান। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনি মন্তব্য করেছিলেন নির্বাচন নিয়ে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফেইসবুকে ওই স্ট্যাটাস দেন। এর কয়েক ঘন্টা পরেই তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বাবার সঙ্গে অভিমান করে নিজের ঘরে প্রাণ দিয়েছেন তিনি। মর্মান্তিক ওই চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেন না। সদা হাস্যেজ্জ্বল ও চঞ্চল প্রকৃতির ওই ছেলেটি সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব আর নিজের অনুসারীদের কাঁদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে তিনি ফেইসবুকে লিখেছিলেন :
সম্মেলন সম্মেলন করে যারা কাউ কাউ করতাছ তাদের কইতাছি।।।।
সামনে নির্বাচন এই মূহূর্তে একটা নতুন কমিটি দলের জন্য এবং নির্বাচনের জন্য কতটা ক্ষতিকর হবে, তা কি একটু ভেবে দেখছ????।।।
দলের প্রতি আর নৌকার প্রতি যদি ভালবাসা না থাকে তবে কাউ কাউ করতেই থাক।।।
কিন্তু লাভ কিছুই হবে না বলে দিলাম।।।
তোমাদের এই কাউ কাউ এর জন্য দলের অথবা নৌকার যদি কেন ক্ষতি হয় তবে কিন্তু একজনও রেহাই পাবানা।।
দল ও নৌকার ক্ষতি করতাছে এইসব করে তাদের পাইলে অথবা বুঝলে উল্ডা লটকায়া পিডায়াম।।।
Mind it....
জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আদনান খান জেলা শহরের সাতপাই কালীবাড়ি এলাকায় নিজেদের বাসায় থাকতেন। তিনি সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় দিকে বাসার ভিতর গলায় ফাঁসিতে ঝুলেন। খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে- বাবার কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্বজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য দিয়ে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা, ০৫ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: