লাইভ প্রতিবেদক : ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান অলিম্পিক ২০১৮-এ সাফল্য দেখিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ওই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৩টি দেশের ১১০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬০০'র অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বাইনাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
ওই প্রতিযোগিতায় এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮টি ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্পিচ, গল্পকথন, স্টক্রাবেল, স্পেলিং বি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নিউজ কাস্টিং, শর্ট স্টোরি রাইটিং এবং রেডিও নাটক।
পাঁচদিনব্যাপী ওই প্রতিযোগিতায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনিয়া ইসলাম গল্প বলা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি দুটি মেডেল অর্জন করেছেন। এছাড়াও ফারাহ মাসুদ ও নুসাইবা মির্জা গল্প বলা বিভাগে অর্ধ-চূড়ান্ত প্রতিযোগী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, যা এশিয়ার মধ্যে ৫০ দক্ষ প্রতিযোগীর শীর্ষ আট অংশগ্রহণকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। অনলাইন শর্ট স্টোরি রাইটিং বিভাগে এসেও এনএসইউর শিক্ষার্থীরা হতাশ করেননি। ফারাহ মাসুদ ও সাদিকা ইসলামের ছোট গল্পগুলো জমা দেওয়া শত শত গল্পের মধ্যে শীর্ষ ১৫টি গল্পের মাঝে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাদিকা ইসলাম চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হন, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ছোট গল্প বিভাগে এই প্রথম কেউ এই অব্দি যেতে সক্ষম হয়েছেন। সাফল্য এখানেই শেষ নয়। ছোট গল্প লেখার বিভাগে তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। সাদিকা ইসলাম ও শাজমীন হক নিউজ কাস্টিংয়েও অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেখানে সাদিকা ইসলাম কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট এবং শাজমীন হক বিচারকদের দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন। তাসনীম তাসসুম অথৈ ও কাশিফিয়া নাহারিন উপস্থাপনা ও বক্তৃতায় অংশ নেন। তাদের আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপ প্রাথমিক পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এগিয়ে নিয়ে যায়।
গত বছর কমিউনিকেশন্স ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট নুসাইবা মির্জা এককভাবে তিনটি পদক জিতেছেন এবং আরও সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার জিতে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা, ১৭ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: