Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বার ২০১৬, ০৪:০৯

 


 

 


লাইভ প্রতিবেদক: বহু জল্পনা কল্পনার পর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর আগে কিছু প্রতিবেদন তৈরী করতে সময় নিয়েছিল সংস্থাটি। অবশেষে সিদ্ধন্ত পাকাপাকি হলো। জানাগেছে ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসিদের দেওয়া সনদ অবৈধ।

তাদের কর্মকান্ডে সন্তষ্ট নয় ইউজিসি। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত নথিসহ (চেক), অন্য কাগজেও (দলিলপত্র) সই করা বৈধ হবে না।

ইউজিসি বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জান‍ায়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেওয়া ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের হালনাগাদ তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্টদের জেনে-শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ ভিসি নিয়োগের পরে তাদের স্বাক্ষর নিলে সনদগুলো বৈধ হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষরিত হতে হয়। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদে ভিসি, প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেবেন। কাজেই এসব পদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দিলে তা হবে আইন পরিপন্থী।

বর্তমানে ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩১ (২) ধারা অনুযায়ী ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী এবং একাডেমিক কর্মকর্তা। মঞ্জুরি কমিশনের একাধিক নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দেশের ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্যের সই ছাড়া সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না।

এতে বলা হয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসির সই করা সনদ অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে অর্থ সংক্রান্ত চেক এবং অন্য কোনো দলিলপত্র সই করাও বৈধ হবে না।

যে সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমস্যা:
এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ২০০৯ সালের পর থেকে ভিসি নেই। দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ চলতি বছরের এপ্রিলের পর ভিসি নেই। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ২০১৪ সালের পর থেকে ভিসি নেই। ২০১২ সালের পর থেকে ইবাইস ইউনিভার্সিটির ভিসি নেই। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ায় ২০১৬ সালের জানুয়ারির পর থেকে ভিসি নেই।

এছাড়া রয়েল ইউনিভার্সিটিতে ২০০৯ সালের পর থেকে, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ২০১৩ সালের পর ও জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ২০১৬ সালের মার্চের পর ভিসি নেই।

শুরু থেকেই বৈধ ভিসি ছাড়া চলছে ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ,  আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, কারিদাবাদ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সৈয়দপুর আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং কুমিল্লা বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

 

জেডএইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি (আরএসটিইউ), রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

 

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএম


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ