লাইভ প্রতিবেদক : বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রী ছিলেন মাবরুকা ফেরদৌসি ঐশী। ভর্তি হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে। ভাইয়ের সঙ্গে সাভারের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। বাবা-মা চাকরির সুবাদে অন্য জায়গায় থাকতেন। এভাবেই চলে যাচ্ছিল সময়। হঠাৎ ছন্দপতন হলো তার জীবনে।
স্কুল ও কলেজ লাইফে ভালো ছাত্রী ছিলেন ঐশী। তাই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনাও চলছিল বেশ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারে ফলাফলে গণ্ডগোল করে ফেলেছেন তিনি। ফল বিপর্যয় হয়েছে তার। বান্ধবীরা পাস করতে পারলেও তিনি দুই বিষয়ে ফেল করেছেন। এটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। রাগে ক্ষোভে তাই প্রাণ দিয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। তার মাথায় আসেনি ফল খারাপ হলে ইমপ্রুভ দেয়া যায়। পরের সেমিস্টারে ভালো ফল করে তা পুষিয়ে নেয়া যায়। ক্ষণিকের আবেগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এই মেয়েটি আর কোনদিন পরীক্ষা দিতে পারবে না। বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে আনন্দ আর হাসিতে মেতে উঠবে না। ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করবে না। এটা ওটা নিয়ে বায়না ধরবে না। তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। যেখান থেকে কখনও ফিরে আসা যায় না। সহপাঠী আর স্বজনদের কাঁদিয়ে নির্মম স্বর্থপর হয়েছেন তিনি।
ফেরদৌসির ভাই অমি জানান, রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফিরে রুম আটকে দেন ফেরদৌসি। পরে অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা না খুললে আশেপাশের লোকজনের সাহায্যে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।
ফেরদৌসির ক্লাস প্রতিনিধি সজীব জানান, রোববার সকালে তাদের প্রথম সেমিস্টারের ফল প্রকাশ হয়। মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও ঐশী দু’টি বিষয়ে ফেল করেন। তার বান্ধবীরা সকলেই সকল বিষয়ে পাশ করলেও তিনি ফেল করায় হয়ত ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি।তাই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ওই ঐশী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি তদন্তের পর জানা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: