লাইভ প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে তার সঙ্গে সংলাপে বসে ছিলাম। সেই সংলাপে যে সমস্ত ওয়াদা তিনি দিয়েছিলেন তার একটাও রক্ষা করেননি। সুতরাং, ওবায়দুল কাদেরের কথায় আস্থা রাখার, বিশ্বাস করার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আবার নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিরোধীদলকে মাঠ থেকে বের করে দিয়ে তাদের নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া। যে নীল নকশায় নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসা যায়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, জনগণ আন্দোলন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আমাদের ১৭ জন মানুষ প্রাণ দিয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্দোলন চলছে, দিনে দিনে আরও বেগবান ও তীব্র হবে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকার বাধ্য হবে জনগণের দাবি মেনে নিতে। রমজান মাসে আমাদের ইউনিয়ন, থানা ও জেলা পর্যায়ে আন্দোলন হয়েছে। ১ মাস কোনো আন্দোলন হয়নি—এটা ঠিক না। আন্দোলন চলছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। কখনও ওঠে আবার কখনও নামে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কাউকে কোনো নালিশ করি না। এ কথা মনে রাখতে হবে। বিদেশি যারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন। শুধু তাদের সঙ্গেই রুটিনমাফিক আলোচনা হয়। তিনি বলেন, এ দেশের জনগণের দ্বারা প্রত্যাখিত বর্তমান সংসদকে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে মানুষের ভোটের অধিকার স্তব্ধ করে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সব কালাকানুন তৈরি করেছে। শাসন বিভাগকে ব্যবহার করে যখন তখন যেকোনো মানুষকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা ও খুন এখন নিত্যদিনের এই অবৈধ সরকারের রুটিনে পরিণত হয়েছে।
এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্বৃতি দিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করে তার সঙ্গে সংলাপে বসেছিলাম। সেই সংলাপে যে সমস্ত কথা তিনি দিয়েছিলেন সেটার একটাও রক্ষা করেনি। সুতরাং ওবায়দুল কাদেরের কথায় আস্থা রাখা বা বিশ্বাস করার প্রশ্নই ওঠে না। এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার আরেকটি চক্রান্ত।
ফখরুল বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফেরত চাই। মানুষ যেন তার ভোট দিতে পারে। গত দু’বারের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। স্থানীয় নির্বাচনে তো ভোট দিতে পারে না। আগে ভোটে উৎসবের আমেজ থাকত। কিন্তু গেল একটি নির্বাচনে ইসি বলেছে, ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মানে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
ঢাকা, ০৯ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: