Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

‘বিএনপি-জামায়াতের দেশের প্রতি কোনো দায়িত্ব বোধ ছিল না’

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বার ২০২২, ০৩:৫৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লাইভ প্রতিবেদক: মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় এক সময় একটা হোটেল ছিল। বাংলাদেশে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো। ১৯৭২ সালে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর এসব উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু পোস্ট গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ ইন্সটিটিউট, এখানেই আমরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলি। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়, এটা করতে গিয়ে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। আমি ঠিক জানি না কেন, বিএনপি-জামায়াত সবসময় এটির বিরোধিতা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একদিকে বিরোধিতা করেছে, অন্যদিকে রোগী যত না ছিল তার তিনগুণ ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছিল। আবার এমন এমন সব ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছিল, যারা কোনোদিন প্র্যাক্টিসও করতো না। এসব ডাক্তার ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত ছিল। তাদের এখানে চাকরি দিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের দেশের প্রতি, জাতির প্রতি কখনোই কোনো দায়িত্ব বোধ ছিল না। অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির আখড়া হিসেবে এটাকে গড়ে তুলেছিল। এমনকি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমও বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। এটাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। তবে অনেক ডাক্তার-নার্স তখন এটা করতে বাধা দেয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি টিকে যায়। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।

সরকার প্রধান আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম। এটা যথেষ্ট সফলতা অর্জন করে। বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়। এগুলো চালু থাকলে বাংলাদেশের মানুষ নাকি শুধু নৌকাতেই ভোট দেবে, আমাকেই ভোট দেবে আর কাউকে ভোট দেবে না। সেজন্য তারা এগুলো বন্ধ করে দেয়। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা এগুলো আবার চালু করেছি। যার সুফল মানুষ পাচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেডআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ