লাইভ প্রতিবেদক: তার পক্ষেই সম্ভব। পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী বাধ সাধেনি। নো-নেত্রীরা বলেছেন পারলে তারাও সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসনে। কিন্তু কারো সহযোগিতা লাগেনি তাদের। কারণ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বলে কথা। পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেলফি তুলছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়।
তিনি ও তার দলবল গাড়ি থেকে নেমে পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। যদিও পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানো এবং ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। ঈদ উদযাপন করতে শনিবার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি যান জয়। তার বাড়ি বরিশালে। তখনই ওই সেলফি তোলা হয় বলে জানাগেছে।
এদিকে গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় সেতুর ওপরে কোনো যানবাহন থামানো যাবে না। গাড়ি থেকে নেমে ছবি তোলা বা হাঁটাহাঁটি করা যাবে না। এমনকি সেতুটি পাড়ি দেওয়ার সময় ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
জানাগেছে জয়ের ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অনেকেই। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রাকিব হোসেনও ফেসবুকে এই ছবি শেয়ার করেছেন। এছাড়া আরো অনেকেই এসব ছবি শেয়ার করেন।
রাকিব হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে গিয়েছিলাম। খুশি আর উত্তেজনার কারণে নিয়মের কথা মাথায় ছিল না। তবে সেখানে সেনাবাহিনীর লোক ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলেই আমরা নেমেছিলাম। নেমে অল্প সময়ের মধ্যে ছবি তুলে আমরা আবার গাড়িতে উঠে যাই।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে ক্ষুধে বার্তাা পাঠালেও তিনি কোন জবাব দেননি। নিয়ম না মেনে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করার এই ঘটনার সমালোচনা করছেন অনেকে।
বলেছেন এক দেশে দুই ধরনের আইন চলছে মনে হয়। এভাবে চলতে থাকলে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না।
আবার অনেকেই বলেছেন ওই কাজ তো আরো একজন করেছেন। তিনিও তো শপথ ভঙ্গ করেছেন। আইন মানেননি। এভাবেই চলবে দেশ। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
ঢাকা, ১০ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএমসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: