Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ছাত্রলীগের সম্মেলন: ঢাবিতে তোপের মুখে জয়-লেখক

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২, ০৬:৪৯

তোপের মুখে জয়-লেখক

ঢাবি লাইভ: এবার খোদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়েন ওই দুই নেতা। ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রত্যাশীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন জয়-লেখক। তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সম্মেলনের তারিখ পেছানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন সংগঠনের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা জানালেন কোন ধরনের চলছাতুরি দিয়ে সম্মেলন দাবিয়ে রাখা যাবে না। অবশ্যই এর সমাধান বের করে দিতে হবে জয়-লেখকদের।

সংশ্লিস্টরা জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ অমান্য করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্মেলন পেছানোর ‌অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা এই অভিযোগ আনেন। শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য মধুর ক্যান্টিনে আসার খবরে আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন সম্মেলন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

জয়-লেখক উপস্থিত হওয়ার পর নেতারা তাদের (জয়-লেখক) কাছে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় দেরি হচ্ছে কেন, কবে সম্মেলন হবে- এসব প্রশ্ন করেন। এসব প্রশ্নের উত্তরে জয়-লেখক তাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক যখন তিনি নির্দেশনা দেবেন তখনই সম্মেলন করা হবে।' তারা বলেন, এ ধরণের কাজ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের বিরোধী।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, নানা গড়িমসি করে সম্মেলন পেছানোর পায়তারা করছেন জয়-লেখক। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র আছে। আমরা সেটা বিশ্বাস করি। মেনে চলি। তারা কার্যনির্বাহী সংসদের মিটিং ডাকবে এবং মিটিংয়ে এ বিষয়ে (সম্মেলনের তারিখ) কথা হবে।

তারা বলেন কিন্তু জয়-লেখকরা এসব না করে শুধু প্রধানমন্ত্রীর উপরই বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছেন। এটা মূলত এক প্রকার ‘নাটক’। তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের কাছে সম্মেলন এবং সাধারণ সভা-জরুরি সভার কথা বললে তারা বলেন, আমরা বর্ধিত সভা দেব, কর্মশালা দেব। সম্মেলনের সময় ঘনিয়েছে এখন তারা সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী এনে কর্মশালা দেবেন! এটা ‘নাটক’ ছাড়া কিছু না।

একটা সংগঠনকে নিচু করার জন্য যা যা করা দরকার তারা সব করছে! তিনি বলেন আমরা সব কিছুই দেখছি। আমরা অনেক কথাই জানি প্রয়োজনে সব কিছু জাতিকে জানিয়ে দেয়া হবে। এদিকে আরেক সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াজ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন ‌অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগের সম্মেলন করার জন্য। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছেন দপ্তর সেলে দুই দিনের মধ্যে সম্মেলনের তারিখ জমা দিতে। কেন তারিখ জমা দেওয়া হয়নি এটাই ছিল তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন। এর বাইরে তো আমরা কিছু চাইনা। প্রত্যাশাও করিনা।

ইয়াজ আল রিয়াজ আরও জানান, এসময় তারা আমাদেরকে বলেছেন, তারা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সাথে কথা বলে তারিখ জমা দেবেন। যে তারিখে সম্মেলন দেওয়া হবে সে তারিখে নেত্রীর সময়-শিডিউল আছে কি না তারা সেটি দেখে তারিখ দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে উপ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মেশকাত হোসেন বলেন, ওনারা আমাদের ফেসবুকে লেখালিখি নিয়ে প্রশ্ন করেন! আমরা ফেসবুকে কেন লিখব না?

পার্টিতে কোনো গঠনতন্ত্র নাই, কোনো জরুরি সভা নাই, কোনো কিছুই নাই। এজন্য আমরা ফেসবুকে মিডিয়ার মাধ্যমে লিখি। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা জরুরি সভা আয়োজন করেন। আমরা বসি, কথা বলি! তারা কিছু করেনি। তারা স্বার্থ হাসিলের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্মেলনের সময় লম্বা করার চেষ্টা করছেন। আসলে তাদের ভিন্ন মিশন। আমরা এই ধরনের চালাকিতে বিশ্বাস করি না।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তাদের মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তারা কোনো জবাব দেননি।

প্রসঙ্গত গত ৭ মে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সহযোগী সদস্যগুলোকে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ১০ মে মঙ্গলবার সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসময় সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে দুয়েক দিনের মধ্যেই আওয়ামী লীগের দপ্তর সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সম্মেলনের কোনো তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায় সংগঠনটির সম্মেলনপ্রত্যাশী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা জয়-লেখকদের এধরনের আচরণকে লুকোচুরি বলেও আখ্যায়িত করছেন।

ঢাকা, ১৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ