লাইভ প্রতিবেদক: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) পড়ার সময় ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। পরে তিনি বাবার ক্ষমতায় ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন।
ডা. মুরাদ হাসানের এক ব্যাচ সিনিয়র ও ৯৮-এর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ইসহাক জানান, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান আদর্শচ্যুত হয়ে ছাত্রলীগের পদ বাগিয়েছেন তার বাবার জোরে। মুরাদ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক থাকা অবস্থাতেই ক্ষমতার পালাবদল হয়। অর্থাৎ বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুই আমলেই তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী।
তিনি আরও জানান, মুরাদ হাসান ১৯৯৫ সালে মমেক শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হয়েছেন। এর এক বছর পর আমরা মেডিকেল কলেজ ছাড়তে বাধ্য হলেও তিনি এক পদ থেকে আরেক পদে চলে যান। পার্থক্য শুধু দল আর আদর্শের।
তৎকালীন ছাত্রলীগের একাধিক নেতৃস্থানীয়রা জানান, মুরাদ হাসান বিএনপির শাসনামলে (১৯৯৪) মমেকে ভর্তি হন। মমেক শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের পদও বাগিয়েছিলেন। অনেকটা আয়েশি ভঙ্গিতেই বিএনপির শাসনামল অতিবাহিত করেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
সোমবার এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি ছাত্রলীগে যোগ দেন।
সোমবার এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি তার (তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান) ব্যক্তিগত বক্তব্য হতে পারে। এটা আমাদের কোনো বক্তব্য না, এটা আমাদের দলের কোনো বিষয় না। কেন এ বক্তব্য তিনি দিয়েছেন জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।
ঢাকা, ০৬ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: