গাজীপুর লাইভ: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের নানান অভিযোগ উঠেছে। ভোট গ্রহণের সময় কেন্দ্রগুলোতে সকালে ভোটাদের উপস্থিতি বেশি থাকলেও পরে তা কমেতে থাকে। ভোটারদের দীর্ঘ সারিতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
অনেক ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের কোন এজেন্ট নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এজেন্টরা সকালে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন পরে তারা চলে যান। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট ৪২৫ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ ৩৭ হাজার।
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে এমইএইচ আরিফ কলেজ কেন্দ্র জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে সিল দেবার অভিযোগ উঠেছে। গোলযোগের কারণে ভোট গ্রহণ প্রায় এক ঘণ্টা স্থগিত থাকার কথাও জানা যায়।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মাহমুদুল আমিন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, জোরপূর্বকভাবে ব্যালট পেপারে সিল দেবার কোন ঘটনাই এখনো ঘটেনিই। ভোটারদের লাইন দীর্ঘ হওয়ায় কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। গোলযোগের আশংকায় কিছুক্ষণ ভোট গ্রহণ স্থগিত রেখে পরে আবার চালু করা হয়।"
এছাড়াও মদিনাতুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে জোড় করে ব্যালটে সিল দেবার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শেখ এখলাসুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, কেন্দ্রে ২০-২২ যুবক তিনটি বুথে ঢুকে ব্যালটে জোড় করে ছিল মেরে চলে যায়।
খরতৈল মনসুর আলী আদর্শ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে একই অভিযোগের কারণে ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়াও শহিদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত একটি কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে গোলযোগ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য যে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোর করে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ভরার চেষ্টার পর সাতটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
ভিডিও:
ঢাকা, ২৬ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: