Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ছাত্রলীগের ঢাবি ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে তদবীর-লবিং

প্রকাশিত: ৮ মে ২০১৮, ০৩:০৫

মৃদুল ব্যানার্জি: চোখে ঘুম নেই। নানান স্বপ্ন। চলছে জোর তদবীর। থেমে নেই লবিং ও যোগাযোগ। হর রাত হরদিন প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বাসা ও বাড়িতে যাতায়াত। মিষ্টির প্যাকেট, ফলমূল আরও কতকি নিয়ে ছুটাছুটি। বলছি দেশের প্রাচীনতম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন ও নির্বাচনের বিষয়ে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নানান তৎপরতা চলছে।

যেন ঘুম নেই পদপ্রত্যাশী নেতাদের চোখে। তারা বিভিন্ন ভাবে তদবীর ও লবিং নিয়েই ব্যস্ত। কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে এনিয়েও রয়েছে নানান কল্পকথা। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের শীর্ষ পদসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে নানা রকম ‘যোগাযোগ’ চলছে বিভিন্ন মহলে। বহু আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া এই সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে মরিয়া এখন পদ প্রার্থীরা।

জানাগেছে আগামী ৩১ মার্চ ও পহেলা এপ্রিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী এ ছাত্রসংগঠনের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দুই বছর ৭ মাস আগে ২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সর্বশেষ সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ভোটে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন সাইফুর রহমান সোহাগ ও জাকির হোসাইন। ওই কমিটি নিয়েও রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।

বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় সংগঠনটি। ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ। আত্মপ্রকাশের পর পরেই চলে কঠিন কঠিন পরীক্ষা। নেতারা এমন কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছেন সফলতার সঙ্গে।

ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা

 

সংশ্লিস্টরা জানান, সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের চাপের মুখে গত মাসে নতুন কাউন্সিলের ঘোষণা দেয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ বর্তমান কমিটি। তারপর থেকেই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণকারী কথিত সিন্ডিকেটের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ শুরু করে পদপ্রত্যাশী নেতারা। বিশেষ করে যাদের বয়স এখনো আছে, তাদের দৌড়ঝাঁপ লক্ষ্য করার মতো।

‘যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে গঠন করা হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও কেন্দ্রীয় কমিটি।’ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের এমন বক্তব্যের পর যোগ্য ও মেধাবী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ফলে অনুপ্রবেশকারীরা মাথাচাড়া দিতে পারবে না। দলের মধ্যে অনেক দক্ষ ও যোগ্য নেতাকর্মী রয়েছে। যাদের পরিবার আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

তারাই ছাত্রলীগের এই শীর্ষ চার নেতৃত্বে আসতে পারবে। শেষ পর্যন্ত এ দুই কমিটির শীর্ষ পদে কাদের ঠাঁই হচ্ছে, সে হিসাব মেলানোই এখন মুখ্য ছাত্রলীগের রাজনীতিতে।

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার যোগ্যতা নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন। যোগ্য এবং মেধাবীরাই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবেন বলে ঢাবির সম্মেলনে এসে বলেছেন ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে তিনি বলেন, ছাত্রলীগে কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। বহিরাগতরাও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে পারবেন না। শুধু তাই নয়; দুশ্চরিত্রবানদেরও ছাত্রলীগের কমিটিতে আনা হবে না বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদেরের এই ঘোষণার একদিন পর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের এক বৈঠকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কারা আসবেন, তা নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সম্মেলনে কোনো প্রার্থীর নাম প্রস্তাব ও সমর্থনের প্রয়োজন নেই। যোগ্যতার ভিত্তিতে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও মেধার বিবেচনায় সিলেকশন পদ্ধতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

টেন্ডারবাজ ও নানা অপকর্মে জড়িতদের নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে ওই নেতারা জানান, যেহেতু সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন; তাই এমন নেতা নির্বাচন করা হবে যাতে নির্বাচনকালীন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।

জানা গেছে, ১/১১ এর সময় দলীয় প্রধানের মুক্তি আন্দোলনে ভূমিকার বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হবে। নানা চমকের পাশাপাশি কমিটিতে নারীদেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার সম্ভাবনা দেখছেন কাউন্সিল সংশ্লিষ্টরা।

নেতৃত্ব সিলেকশনে:

একটি সূত্র বলছে, ছাত্রলীগের এবারের সম্মেলনে সরাসরি ভোটের পরিবর্তে সিলেকশন পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচন হতে পারে। তবে প্রক্রিয়া যা-ই হোক না কেন, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাতেই তা চূড়ান্ত হবে।

এবাবের নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তথাকথিত সিন্ডিকেটের প্রভাবমুক্ত দেখতে চান ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। সাধারণত কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন। সেই সম্মেলন হওয়ার পরপরই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা আসছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন  ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত যোগ্য ও দলের প্রতি নিবেদিতরাই আসবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে। যারা দুঃসময়ে মাঠে থেকেছে ও সামনে নির্বাচনকে ঘিরে যারা সারাদেশে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তারাই আসবে নেতৃত্বে।’ সর্বোপরি নেত্রীর ইচ্ছাই সবার উপরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে চাইবেন তিনিই আসবেন নেতৃত্বে।’

আগামী ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল শেষ হয়েছে ঢাবি শাখার সম্মেলন। যদিও এখন পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়নি ছাত্রলীগের সুপার ইউনিট বলে পরিচিত এই শাখার। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) পদ পেতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে লবিং ও তদবির। নেতাদের বাসায় ও অফিসে অনেকেই ধর্না দিচ্ছেন।

এদিকে ঐতিহ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে কয়েকটি বিষয় দেখা হয় বলে জানিয়েছেন সাবেক নেতারা। এর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, বয়স, নিয়মিত ছাত্র, সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং এলাকা। এ ছাড়া সংগঠন পরিচালনায় দক্ষতাকে এবারের সম্মেলনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

গত কয়েকটি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বে (কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন নেতৃত্বে থাকে। এর বাইরে অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাকি দুজন নেতৃত্বে আসছেন। এবারের সম্মেলনকে ঘিরে এই হিসাব ধরেই এগোচ্ছেন প্রার্থীরা।

২৯তম জাতীয় সম্মেলনে (কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) নেতৃত্ব নির্বাচনে অন্যান্য যোগ্যতার পাশাপাশি এলাকার বিষয়টি বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বৃহত্তর বরিশাল, চট্টগ্রাম অঞ্চল, উত্তরবঙ্গ ও ফরিদপুর অঞ্চল আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এ ছাড়া বৃহত্তর খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকেও নেতৃত্ব নির্বাচন হতে পারে।

ছাত্রলীগের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে বরিশাল অঞ্চল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব আসে। সে বছর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে এ কে এম এনামুল হক শামীমকে সভাপতি (ফরিদপুর অঞ্চল) এবং ইসহাক আলী খান পান্নাকে (বরিশাল অঞ্চল) সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২৪ বছর বরিশাল অঞ্চল থেকে সংগঠনটিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে প্রায় নিয়মিত এই অঞ্চল থেকে নেতৃত্বে এলেও এ বছর কেন্দ্রের নেতৃত্বে এ অঞ্চলটিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

এরপরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আলোচনায় রয়েছে উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম অঞ্চল। ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলনের মাধ্যমে ২০০৬ সালে উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নেতৃত্ব আসে। তখন উত্তরবঙ্গ থেকে মাহমুদুল হাসান রিপনকে সভাপতি ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর ২৭ ও ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে এ দুটি অঞ্চল থেকে আর শীর্ষ নেতৃত্ব আসেনি।

ফলে এবারের সম্মেলনের প্রার্থী নির্বাচনে এ দুটি অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২৭তম সম্মেলনে বৃহত্তর খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে ফরিদপুর ও সিলেট অঞ্চল থেকে নেতৃত্ব আসে। ফলে এবারের সম্মেলনে খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল থেকে নেতৃত্ব আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে পূর্বের ঐতিহ্য অনুযায়ী ফরিদপুর থেকে একজন নেতৃত্বে আসবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্মেলনের দায়িত্বে যারা:

জানাগেছে এবারের সম্মেলন সাফলভাবে শেষ করতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৬ জনকে দেয়া হয়েছে দায়িত্ব। অন্যরা হলেন: দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি।

অসন্তোষ:

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ধারা অনুযায়ী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মেয়াদ দুই বছর। সে হিসেবে ছাত্রলীগের চলমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস আগেই শেষ হয়েছে। এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংগঠনের একটা বড় অংশ। একারণেই এই সম্মেলন গুরুত্বের দাবী রাখে।

অঞ্চলভিত্তিক গুরুত্ব:

সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রতিবারের মতো এবারও অঞ্চলভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। সেই দিক থেকে এখন পর্যন্ত আলোচনায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন; ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আরেফিন সিদ্দিক সুজন (সহ-সভাপতি), গোলাম রাব্বানী (শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক), রাকিব হোসাইন (কর্মসূচী ও পরিকল্পনা সম্পাদক), হাফিজুর রহমান (সভাপতি, স্যার এ এফ রহমান হল, ঢাবি) ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জহিরুল হক হল, ঢাবি)।

বরিশাল অঞ্চল থেকে রয়েছেন; আল-নাহিয়ান খান জয় (আইন সম্পাদক), বরকত হোসেন হাওলাদার (কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক) ইয়াজ আল রিয়াদ (ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক), মো: আরিফুল ইসলাম সোহাগ (সহ-সম্পাদক) খাদেমুল বাসার জয় (সহ-সম্পাদক) ও জহিরুল কবির জহির (সহ-সম্পাদক)।

খুলনা অঞ্চল থেকে আলোচনায় রয়েছেন: শেখ মোঃ শওকতুজ্জামান সৈকত (সাংগঠনিক সম্পাদক) , মোতাহের হোসেন প্রিন্স (সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ও ইমদাদ হোসেন সোহাগ (আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-সম্পাদক)।

চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন; মাজহারুল ইসলাম শামীম (প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক), সৈয়দ আরাফাত (স্কুলছাত্র বিষয়ক উপ সম্পাদক), খাজা খায়ের সুজন (স্কুলছাত্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক) ও সরকার রায়হান জহির (সভাপতি, মুহসীন হল, ঢাবি)।

উত্তরবঙ্গ থেকে রয়েছেন; কামরুজ্জামান বিশ্বাস জিপু (নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক উপ-সম্পাদক), হোসাইন সাদ্দাম (আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক), মেহেদী হাসান সানী (সাধারণ সম্পাদক, মুহসীন হল) ও মোঃ আল মামুন ( মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-সম্পাদক)।

সিলেট থেকে আছেন; ইউসুফ উদ্দিন খান (সভাপতি, জিয়া হল, ঢাবি) ও আনিসুল ইসলাম জুয়েল (গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক)।

ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে আলোচনায় রয়েছেন; এ বি এম হাবিবুল্লা বিপ্লব (পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক) ও সোহান খান (সহ-সভাপতি)।

আলোচনায় আসা নারী নেত্রীর মধ্যে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চৈতালী হালদার চৈতী। তার গ্রামের বাড়ি খুলনা অঞ্চলে।

তবে নির্ধারিত বয়স শিথিল করা সাপেক্ষে হলে আলোচনায় রয়েছেন; মেহেদি হাসান রনি (সহ-সভাপতি), সায়েম খান (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক), নিজামুল ইসলাম (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক) প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন ২৮তম অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ১১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন শেষে ১৮ জুন আবিদ আল হাসানকে সভাপতি এবং মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

 

ঢাকা, ০৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ