লাইভ প্রতিবেদক: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাদশ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার এই মহাসমাবেশ শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করবে। ‘আজ এই জনসমুদ্রে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে। এ বার্তা ইতিহাস গড়ার, ইতিহাস সৃষ্টি করার। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করার।’
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এজন্য কি আপনারা প্রস্তুত?’ জবাবে সবাই হাত তুলে জবাব দেন।
ঢাকার বাইরে যান তাহলেই বুঝবেন দেশ কতটা উন্নয়নশীল হয়েছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘আজ দেশে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছে।’ এ সময় সমাবেশ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘বাধা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহর আজ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সব রাস্তা বন্ধ। মানুষ চলাচল করতে পারছে না। এতেই প্রমাণিত হয়েছে জাপা আছে জাপা আগামীতে থাকবে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এত অত্যাচারের মধ্যেও আমরা আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, জনগণ ভোট দিতে পারবেন এমন পরিবেশ চাই। নির্বাচন কমিশন ছাড়া নির্বাচনে কারও হস্তক্ষেপ চাই না।’ আগামীতে সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় মহাসমাবেশে এরশাদ বক্তব্য রাখা শুরু করেন, সাড়ে ১২টায় তিনি বক্তব্য শেষ করেন। লিখিত বক্তব্যে এরশাদ ১৮ দফা পেশ করেন এবং ২৮টি বার্তা দেন।
শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে। ঢোল-তবলা, ব্যানারসহ ব্যাপক উৎসাহে তাদের সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জাপা’র ঢাকা উত্তর শাখা প্রেসিডেন্ট ফয়সাল চিশতি।
মঞ্চে অন্যদের মধ্যে ছিলেন, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাপা’র কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, সেক্রেটারি রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সম্মিলিত ইসলামি জোটের নেতাদেরও মঞ্চে দেখা যায়।
ঢাকা, ২৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: