লাইভ প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশকে ভয়ঙ্কর বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। এজন্য জনমত গড়ে তুলে আন্দোলনে নামা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
সেইসাথে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন তার পক্ষে আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীতে কচিকাঁচা মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘জিয়া আমার চেতনা’ শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাফ)।
জিনাফের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কে এ জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মাধ্যমে আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা এবং বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিলাম। একদলীয় বাকশালী শাসনের পরিবর্তে বহু দলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে ফিরেছিলাম। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সত্যিকারের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষের নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন সহ আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিক্রিয়ায় তা প্রত্যাখান করেছে। মনে হচ্ছে এটা তাদের আগেই তৈরি করা ছিল। যেমন বাজেট হলে কেউ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। অথচ সেই প্রস্তাবনায় আমাদের চেয়াপারসন দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা এবং রক্ষার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র সম্পর্কে দেশবাসীর ভালো জানা আছে। তারা জানে যে আওয়ামী লীগ অতীতে কি করেছিল? তাদের কর্মকাণ্ড কি? এ জন্যই তারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা আমাদের সম্ভাবনাগুলো এবং গণতান্ত্রিক স্বপ্নগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আন্দোলনে নামা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বিদেশী বিনিয়োগ নেই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিদেশী প্রতিনিধিরাও এসব বলেছেন। আজকে পিতা পুত্রের দ্বারা পুত্র পিতার দ্বারা খুন হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিদেশী বিনিয়োগ হতে পারে না।
তিনি বলেন, আজ জঙ্গিবাদের নামে লোক ধরা হচ্ছে। কিছুদিন পর তাদেরকে মেরে ফেলা হচ্ছে। কোনো তদন্ত হচ্ছে না। বিনাবিচারে তাদেরকে মেরে ফেলা হচ্ছে। তাহলে জঙ্গিবাদের উৎস চিহ্নিত হবে কি করে? এজন্যই আমরা জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: