লাইভ প্রতিবেদক: মিলনমেলা মানেই আনন্দ। উচ্ছাস। আড্ডা। খুব সম্ভবত দেশে এই প্রথমবার সারা বাংলাদেশের কোনো ব্যাচ একসাথ হয়েছে। দিনটি ছিলো ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭। বিকেল তিনটা থেকেই একজন দুইজন করে একত্রিত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে। সবশেষে তিনশ এর উপরে অজানা অচেনা ছেলেমেয়ে শুধুমাত্র ব্যাচের টানে একসাথ হয়েছে।
এইচ এস সি ব্যাচ ২০১৪ নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ ছিলো ২০১২ সাল থেকেই। ফার্স্ট ইয়ারে পড়া অবস্থায় গ্রুপটি খোলা হয়। এরপর একে একে নতুন সদস্য যুক্ত হচ্ছিলো আর এখন গ্রুপটির সদস্যসংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার! এই ব্যাচের যখন এইচ এস সি পরীক্ষা হয় প্রথমবারের মতো প্রশ্নফাঁস হয় দেশে।
সেই প্রশ্ন ফাঁসকে কেন্দ্র করে পরীক্ষা পিছিয়েও যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনোরকম পূর্ব নোটিস ছাড়া সেকেন্ড টাইম বন্ধ করে দেয় এই ব্যাচ থেকেই। নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এরা এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কেউ গান নাচ করে যাচ্ছেন আবার কেউ হচ্ছেন তরুণ উদ্যোক্তা।
গ্রুপটির প্রধান এডমিন ফিদা আল হাসান সহ আরো কয়েকজনের নিরন্তর প্রচেষ্টায় সেদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন চৌদ্দ ব্যাচের ছেলে মেয়েরা। সুদুর সিলেট থেকে আসা বর্ষার মুখে ছিলোনা এতটুকু ক্লান্তির ছাপও! উল্লেখ্য, তিনি শুধু মিলনমেলাকে কেন্দ্র করেই দুই দিনের জন্যে সিলেট থেকে ঢাকা এসেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা থেকেও এসেছেন বেশ কয়েকজন। কেক কেটে মিলনমেলা উদ্ভোধণ করার পর সবাই মিলে গিটারে টুং টাং আওয়াজ তোলা, এরপর নতুন ব্যাচমেট বন্ধুদের সাথে একদম পুরোনোদের মতো সেলফী তোলা আর হৈ হুল্লোড়ে কার্জন হল যেন কলকল ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছিলো।
দিন শেষে সবার একটাই চাও, এমন মিলনমেলা হউক বারবার। একতা বাড়ুক সবার মধ্যে। একতাই বল, একতাই শক্তি- প্রবাদের প্রমাণে মাতোয়ারা ছিলো ব্যাচের ছাত্র ছাত্রীরা।
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: