Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

সৃজনশীলের নম্বর বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজপথে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২ অক্টোবার ২০১৬, ০১:২৯

লাইভ প্রতিবেদক: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নের নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করেছেন ঢাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে দুপুর ১২টার পর থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আজ শনিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আগামী মঙ্গলবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী বা এমসিকিউ অংশে নম্বর কমিয়ে সৃজনশীল অংশে বাড়িয়েছে।। আগে যেখানে সৃজনশীল অংশে ছয়টি প্রশ্ন থাকত সেখানে এবার আরও একটি প্রশ্ন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পরীক্ষার জন্য যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে তাঁরা সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। এ জন্যই তাঁরা চান, গতবারের মতোই সিদ্ধান্তটি বহাল থাকুক।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে সরকারি কবি নজরুল কলেজের ছাত্র শরীফ আহমেদ বলেন, তাঁরা দাবি মানার জন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন। যদি দাবি পূরণ নাহয় তাহলে মঙ্গলবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে যায়। দুপুর ১২টার পর থেকে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আড়াই ঘণ্টা পর আবার যান চলাচল শুরু হয়।

ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

বর্তমানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় একটি প্রশ্নপত্রকে দুই ভাগে ভাগ করে প্রশ্ন করা হয়। একটি অংশে সৃজনশীল আরেকটি অংশে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকে। এতদিন ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশের নম্বর ছিল ৬০। আর বহুনির্বাচনী অংশের নম্বর ছিল ৪০। বহুনির্বাচনীর জন্য সময় ছিল ৪০ মিনিট।

কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমালোচনার মুখে সরকার বহুনির্বাচনী অংশের ১০ নম্বর কমিয়ে সৃজনশীল অংশে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ একটি পরীক্ষায় যদি ১০০ নম্বর থাকে তাহলে সেখানে এখন সৃজনশীল অংশের নম্বর হবে ৭০। আর এমসিকিউ অংশের নম্বর হবে ৩০।

গত বছরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে শিক্ষা বোর্ডগুলো এই নম্বর পুনর্বণ্টন করে। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা এর বিরোধিতা করছে।

ঢাকা, ০১ অক্টোবর, (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ