ইবি লাইভ: আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। নেই কোনো ক্লাস-পরীক্ষা। ফাঁকা ক্যাম্পাসে এরই মধ্যে হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক পরে বেরিয়ে পড়েছে একদল শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অপরিষ্কার জায়গার ময়লা পরিষ্কার করে বস্তায় ভরে ফেলে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট জায়গায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে শহীদ মিনার চত্বর, স্মৃতিসৌধ চত্বর, ঝাল চত্বর, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের আশেপাশে, অনুষদ ভবনের পিছনে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও কেন্দ্রীয় মসজিদের আশেপাশের ময়লা পরিষ্কার করেছেন তারা।
“তারুণ্যে’র আশ্বাস, পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস” স্লোগানে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন ‘তারুণ্য’। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় তাদের এই কর্মসূচি। এসময় তারা সাদ্দাম হোসেন হলের পিছনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন এলাকা এবং জিয়া মোড়সহ পুরো ক্যাম্পাসে পরিছন্নতা অভিযান চালিয়েছে।
জানা যায়, সংগঠনটির সভাপতি আশিফা ইসরাত জুঁই ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য বিভিন্ন ৭টি দলে বিভক্ত হয়ে এ পরিছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পর্কে সংগঠনটির সদস্য এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানের একটি দলের দলনেতা হাসিব ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাব। যেগুলো রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত। যে কারণে শিক্ষার্থীরা ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা না পেয়ে যত্রতত্র ময়লা ফেলেন। প্রশাসনের নিকট দাবি জানায়, পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গড়তে ডাস্টবিনের সংখ্যা যেন আরও বৃদ্ধি করা হয়।’
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আশিফা ইসরাত জুঁই ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ক্যাম্পাস ও চারপাশের পরিবেশটা আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি। দিনের অধিকাংশ সময় আমরা এখানে থাকি। এজন্য পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে পুরো ক্যাম্পাসে দু-এক জায়গায় একটি করে ডাস্টবিন রয়েছে। যেটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক ছোট। ফলে ডাস্টবিনের পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা। এভাবে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। খাবারের উচ্ছিষ্ট যেখানে সেখানে ফেলার কারণে যেমন ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ তেমনি দ‚ষিত হচ্ছে পরিবেশ। এজন্য প্রশাসনের নিকট দাবি থাকবে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করা।’
উল্লেখ্য, তারুণ্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন। ২০০৯ সালের ২৯ শে জুলাই প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্তদান কর্মসূচী, তারুণ্য লাইব্রেরি, বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, লিডারশীপ ট্রেনিং, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ, অসহায় শিক্ষার্থীদের সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণম‚লক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।
ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএইচ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: