লাইভ প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে নিয়ে সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের বক্তব্য ‘অসত্য এবং মানহানিকর’ উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউএমসিজেএএ)।
ডিইউএমসিজেএএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার মহান জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী দিনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ডিইউএমসিজেএএ-র প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা, অসত্য, বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন, আমরা তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, ড. সিদ্দিকের কোনো ডক্টরেট ডিগ্রি নেই। এ অভিযোগটির ন্যূনতম কোনো সত্যতা নেই। তিনি ১৯৭৫ সালে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়ার পর ১৯৮৬ সালে ভারতের মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী দিনে বক্তব্যে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, দেশব্যাপী শিক্ষকদের হত্যা, লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনাগুলোর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ ধরনের পরিস্থিতির কারণ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগকে দায়ী করেন তিনি।
বক্তব্য দিতে গিয়েই ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের প্রসঙ্গ টানেন কাজী ফিরোজ রশীদ। বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কী হচ্ছে? এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ডাক্তার-প্রকৌশলী বানাচ্ছি, কিন্তু মানুষ বানাচ্ছি কতগুলো?’ দায়িত্ব তো উনিও এড়াতে পারেন না। উনি তো ঢাবির ভিসি ছিলেন। তার কোনো গবেষণা ছিল না। ডক্টরেট ডিগ্রি নেই, শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছেন।
সমস্যাটা এখানে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসবে, সেই দলের শিক্ষকদের পদোন্নতি হবে। তাদের ছত্রচ্ছায়ায় একশ্রেণির ছাত্রনেতা মাস্তান হয়ে যায়। এটা এখন একটা মামুলি ব্যাপার। এখানে যোগ্যতার কোন বিচার নেই।
ঢাকা, ০২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: