Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সফল ছাত্র উপদেষ্টার গল্প

প্রকাশিত: ১ অক্টোবার ২০১৭, ০৬:৪৪

ইমদাদুল হক সোহাগ : বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকার এবং পরবর্তীতে সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের আমলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত শিবিরের রাম রাজত্ব কায়েম ছিল। শিবিরের ভাষ্যমতে তখন নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাস-লতাপাতা সবই শিবির করত। প্রগতিশীল অনেক শিক্ষক নাকি শিবিরকে (জাজিয়া কর) ইয়ানত দিত স্বপ্রনোদিত হয়ে।

প্রগতিশীল অনেক শিক্ষক যখন শুশীলতার ছদ্দবেশ ধারণ করে নেত্রী মুক্তি আন্দোলনের পক্ষে স্বাক্ষর দিতে সাহস পাননি। অনেক শিক্ষক স্বাক্ষর করেও পরবর্তীতে ভয়ে তার নাম কেটে দিয়েছেন।

সেই কঠিন দু:সময়ে ইবিতে হাতেগোনা যে কয়জন শিক্ষককে দেখেছি দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির পক্ষে কথা বলতে, স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলতে তাদের মধ্যে প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক স্বপন স্যার। বায়োটেকনোলজি বিভাগের ওই শিক্ষক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রলীগকে আগলে রেখেছেন।

একজন শিক্ষাগুরু হিসাবে আপনি স্বার্থক। কারণ একজন শিক্ষকের স্বার্থকতা নির্ভর করে তার ছাত্রসংখ্যার উপর নয়। বরং এটা নির্ভর করে তার শিষ্যত্ব কতজন গ্রহণ করেছে তাকে কতজন ছাত্র আইডল হিসেবে গ্রহণ করেছে তার ওপর।

বায়োটেকের শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে আইডল হিসেবে গ্রহণ করেছেন তার থিওরি এবং ব্যবহারিক বিজ্ঞানে অগাধ পান্ডিত্যের জন্য। ছাত্রদের সঙ্গে তার শিশুসুলভ অমায়িক ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করে। এতগুণে গুণান্বিত হওয়া সত্ত্বেও প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক নিরহংকারী মনোভাবের।

একাডেমিক জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে যদি আদর্শিক জায়গায় আপনাকে পর্যবেক্ষণ করি, তাহলে দেখব সবসময় আপনি আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ছাত্রলীগের নির্দোষ কোন ছাত্র যখন আদর্শিক কারণে বিভাগের জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয় তখন সেই ছাত্রটির পাশে আপনি ঢাল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন।

দারিদ্রতার কষাঘাতে পিষ্ট হয়ে কোন ছাত্র যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়ার উপক্রম হয়েছে তখন আপনি পরম মমতায় তার পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।

সবশেষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট থেকে বর্তমান ছাত্র-উপদেস্টার দায়িত্ব পালনকালে নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে ইবিতে আপনি একজন দক্ষ প্রশাসক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন।

সকল বাধা বিপত্তি প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আপনার উপর যেকোন অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান প্রশাসনের মাধ্যমে বিশ্বমানের মডেল বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মানের স্বপ্ন পূরণে আপনি যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারবেন সেই আত্মবিশ্বাস সকল ইবিয়ানদের কাছে আপনি ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন।

 

ইমদাদুল হক সোহাগ
সাবেক সহ-সভাপতি,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা


ঢাকা, ০১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ