নাদিয়া বিনতে কবির : অামরা মেয়েরা প্রতিনিয়ত কোন না কোনভাবে হয়রানির শিকার। এটা আমাদের অনেকটা সয়ে গেছে। মানে এটিকে সয়ে নিয়েই পথ চলতে হচ্ছে।
একজন ছাত্রী যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে যায়, তখন শুধু ওই মেয়েটাই জানে বাসে কতটা সচেতন হয়ে থাকতে হয় তাকে। সর্বোচ্চ সতর্কতার পরও অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো থেকে রেহাই পেতে কতটা বেগ পেতে হয় তা অামার মত পাবলিক বাসে যারা চড়েন তারাই জানেন।
ক্যম্পাসে পা রাখার সাথে সাথেই নিজেকে মুক্ত বিহঙ্গের মত মনে হতো, মনে হতো অামি অামার অাঙ্গিনায়, অামার ভুবনে।
এ জন্যে অামাদের প্রশাসন, অামাদের বন্ধু কিংবা বড়ভাই সবাই প্রশংসার দাবি রাখেন। কারণ তাদের সাহায্য ছাড়া অামরা সাভাবিক ও স্বস্তির জীবন হয়তো পেতাম না।
কিন্তু এর ভেতরও চোখের আড়ালে প্রতিদিন ঘটছে অসংখ্য ঘটনা, সবকটি হয়তো অামাদের চায়ের অাড্ডাগুলোতে অালোচনায় অাসছে না।
দিনশেষে অসংখ্য মুখ থেকে একটি মুখ মলিন হয়ে গন্তব্যে ফিরছে। তার পরের দিনের উচ্ছ্বলতায় ভাটা পড়ছে, গুটিয়ে নিচ্ছে নিজেকে জীবনের সুন্দরতম মহূর্তগুলো থেকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিয্যের নাম, একটি অহংকারের নাম। অামরা চাই প্রশাসন ছাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যপারে অারেকটু সজাগ হোন। যৌন নিপীড়ন ও শাস্তি বিষয়ক যে সেল রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই এর কার্যক্রম সম্পর্কে অারেকটু প্রচার প্রয়োজন।
কাজে তৎপর হয়ে এটির অস্তিত্ব জানান দেয়ার সময় এসেছে। প্রতিটি ইনস্টিটিউট, প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অাঙ্গিনা হোক যে কোন রকমের নিপীড়নমুক্ত। অামরা জীবনের বেস্ট সময়গুলোর নিরাপত্তা চাই। প্রশাসনের নিকট একটাই দাবি।
নাদিয়া বিনতে কবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ১৮ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: