তুষার মাহমুদ: বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন এই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের উৎপত্তি "পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগ" নামকরণের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম "আওয়ামী লীগ" করা হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একটি পুরনো ও ঐতিহ্যবহনকারী রাজনৈতিক সংগঠন এবং বাংলাদেশর গণমানুষের একটি আশা ও ভরসার প্রতীক।
৪৭-এ দেশ বিভক্তির পর এদেশের মানুষ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল, নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। কিন্তু সে স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থেকে যায়। পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তান শুধু শাসন,শোষণ, লাঞ্চনা এবং বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে পদে পদে। ১৯৫২ সালে এদেশের মানুষের সংস্কৃতি তথা ভাষার উপর যে আঘাত এসেছিল সেই বাংলা ভাষা রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ভাষা আন্দোলনের সূত্র ধরে পরবর্তীতে ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ৬দফা, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে এদেশের মানুষের আশার আলো হয়ে সামনে থেকে যে দলটি এদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে সেই রাজনৈতিক দলের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
এদেশের প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের মানুষের কাছে আওয়ামীলীগ হয়ে উঠে গণমানুষের দল। আর তার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৬৯ পরবর্তী ১৯৭০এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন। নির্বাচনে জয়লাভ করেও পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর হাত থেকে এদেশ রক্ষা পায়নি।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে শুরু হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার যুদ্ধ। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে এদেশ বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। শুধু তাই নয় স্বাধীনতাপূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তর এদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলন, সংগ্রাম, দুর্যোগ, দুর্বিপাকে এদেশের গণমানুষের পাশে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এগিয়ে যাচ্ছে স্বমহিমায় এবং ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। অন্ধকারে আশার প্রদীপ জ্বেলে দিক থেকে দিগন্তের তরে বয়ে চলছে বিরামহীন, ক্লান্তিহীন।
লেখকঃ তুষার মাহমুদ
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ঢাকা, ২৩ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরআই//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: