ডা. সাঈদ এনাম: আমি আর এজাজ ফুটপাত ধরে বেশ খানিকক্ষণ হাটছিলাম। জ্যামাইকার ফুটপাত ধরে। দুজনে একটা বাঙালি রেস্টুরেন্ট এ ঢুকলাম। উদ্যেশ্য বৈকালিক চা নাস্তা। রেস্টুরেন্টের সবাই বাংলাদেশী। কাস্টমার, ক্যাশিয়ার, ওয়েটার, গেইটম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী। নিউইয়র্কে বাঙালি হোটেল পেয়ে ভালো লাগলো আর চা খাবার মুহুর্ত'টাকে মোবাইলে ধারণ করতে চাইলাম। মোবাইল পকেট থেকে বের করতেই, এজাজ ইশারা দিলো 'না'।
দুজনের বিল আসলো ২৫ ডলার এর মতো। বিল মিটিয়ে দেবার পরও ওয়েটার খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। আমি এজাজের দিকে তাকালাম। ইশারায় জিগ্যেস করলাম, 'ব্যাপার কি'। ও পাঁচ ডলার টিপস দিলে ওয়েটার যুবক সালাম সুচক হাসি দিয়ে চলে গেলো।
হাটতে হাটতে এজাজ বললো, সাধারণত বাঙালি হোটেল রেস্টুরেন্টে কেউ সেল্ফি বা ছবি তুলে না। তুলতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এখানে অনেকে ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী। এটা হয়তো দেশের বাড়িতে কেউ জানেনা। জানেন না এমন কি আপনজন প্রেমিক বা প্রেমিকারাও। অনেক কস্টের জীবন। বুক ফাটেতো মুখ ফোটেনা। এসব ওড জব পারতপক্ষে চায়না কেউ শেয়ার হোক নিকট জনের মাঝে।
আমি বললাম, টিপস নেবার জন্যে এভাবে হাত পেতে দাড়িয়ে থাকাটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। সে বললো, এখানের টিপস বা বখশিশ ইনকামের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই টিপস এর টাকায় নিজের দেশে অনেকের সংসার চলে, ঘর-বাড়ি উঠে, উঠে কোটি টাকার প্যালেস বা রং-মহল। টিপসের টাকার ট্যাক্স দিতে হয়না।
লেখক: ডা. সাঈদ এনাম
ঢাকা, ১৩ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: