Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শিক্ষার্থী শোষক নিপাত যাক, শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাস মুক্তি পাক

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০২২, ২৩:৩৪

এ টি এম মাহফুজ: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখা, তাঁদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া সহ তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তথা দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

মাঝে মাঝে চিন্তা করি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কাদের জন্য তৈরী করা হয়েছে! কাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করবে! দেশ গড়া শিখবে! বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় নাহলে আন্দোলন হবেই, এটাই স্বাভাবিক। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট হোক বুলেট হোক আর যেটাই হোক - নিক্ষেপ করার অনুমতি প্রশাসন কিভাবে দিতে পারে!

এরপর হঠাৎ করেই আসে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ, হল ছাড়ারও নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এটা কি মগেরমুলুক! এতগুলো শিক্ষার্থী, হঠাৎ সিদ্ধান্ত, আবার না জানি কয়েকদিন পরেই খুলে দেওয়ার নোটিশ দিবেন! বাড়ি যাতায়াত সহ বাইরে কোথাও থাকতেও তো মিনিমাম কয়েক হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। সবার আর্থিক অবস্থা সমান! আপনাদের মতো মাস গেলে টাকা কি এদের একাউন্টে ঢোকে!

এই শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল সন্তানের বাপ-মায়ের টাকাই এইসব শিক্ষকদের বেতন হয়।এটা এনারা ভুলে গেছে, এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ভুলে গেছে। এদের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। শুধু যে এই হামলার ব্যাপারটা তা নয়, শিক্ষা দানের ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের অবহেলা, অন্যায় ও ফাঁকিবাজি রয়েছে।

বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চুপ থাকে, কিন্তু কেন! কিছু বললে তো কালার হতে হবে, কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ তো কোনো ব্যবস্থায় নিবে না, বরং যেসব শিক্ষক এসব অন্যায়,দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সেসব শিক্ষকরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদগুলোতে বসে রয়েছে।

উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে তদবির করে সব অনিয়ম,দূর্নীতি ও অভিযোগ কে মুছে দেওয়া যায় তাহলে সেখান থেকে আমরা শিক্ষার্থীরা কি শিখবো! তাহলে তো বলতে হয় শিক্ষক সমাজ শোষণ করছে শিক্ষার্থীসমাজকে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ দ্বারা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা সত্যিই ন্যাংকারজনক কাজ।এই পরিকল্পিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই ধরনের কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানাই।

সর্বোপরি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শোষণ বন্ধ হোক, শিক্ষক সমাজ হোক শিক্ষার্থী বান্ধব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হোক শিক্ষার্থী বান্ধব।শিক্ষার্থী শোষক নিপাত যাক, শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাস মুক্তি পাক।তবেই ক্যাম্পাসগুলোতে সুন্দর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নত হবে।

লেখক: এ টি এম মাহফুজ
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২য় বর্ষ
শিক্ষার্থী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ