বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেমের ক্ষেত্রেও নিয়ম থাকে। এই নিয়ম শুরু হয় প্রতিবছর ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়া জুনিয়র মেয়েদেরকে সিনিয়র ছেলেদের প্রপোজ করা দিয়ে।
লাভ হয়না। কারণ, ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হওয়া মেয়েরা পারলে হাওয়ার উপর দিয়ে হাঁটে। এই সময় তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই বয়ফ্রেন্ড থাকে, যাদের রিলেশন শুরু হয় স্কুল কিংবা কলেজ লেভেলে থাকতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওই মেয়ের বয়ফ্রেন্ড তার ব্যাচমেট হয়, যে তার চেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ে।
বয়ফ্রেন্ড না থাকলেও তাদের প্রতি সিনিয়রদের বেশি আগ্রহ থাকায় তারা তাদের পাত্তা দিতে চায়না। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম হতে পারে; ঐদিকে নাহয় না যাই, তারা সুখে শান্তিতে প্রেম করতে থাক।
তারপর, মেয়েটা ওঠে সেকেন্ড ইয়ারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই সময়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
সে যখন থার্ড ইয়ারে ওঠে, ততোদিনে তাদের ব্রেকাপ হয়ে যায়। তখন সে খেয়াল করে যে, তার উপর ক্রাশ খাওয়া সেই সিনিয়র কই থেকে যেন একটা জিএফ যোগাড় করে ফেলেছে, যার বয়স কিনা তারচেয়ে কম। সে তখন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়।
সে ফোর্থ ইয়ারে/মাস্টার্সে উঠে টের পায় যে, তার উপর ক্রাশ খাওয়ার মতো অবশিষ্ট কেউ নেই। কিছু জুনিয়র ছেলেপেলে ক্রাশ খেলেও তা কোন কাজের না। তার নিজের ব্যাচের ছেলেগুলো তখন জুনিয়রদের উপর ক্রাশ খেতে ব্যস্ত। তখন সে কোন এককালে তার উপর ক্রাশ খাওয়া কোন এক সিনিয়রের সাথে ভাষায় যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে।
কিন্তু, তার সেই সিনিয়রের জিএফ থাকায় সে তার সাথে টাইমপাস করলেও এতে আসল কাজ হয়না। এরপর ঘটে সবচেয়ে মজার ঘটনা।
তার বিয়ে হয়ে যায় তার সেই সিনিয়রেরও সিনিয়র কারো সাথে, যার জিএফের সাথে তার ব্রেকাপ হয়ে গেছে কিছুদিন আগে।
তবে এসব নিয়ম ছাড়াও হয় প্রেম; সবগুলো প্রেম ভালো থাক।
সমুদ্র
ইংরেজি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[বি:দ্র: এটা একটি পরসেপশন এবং একটি চিন্তাধারা মাত্র। এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল-অমিল থাকতে পারে। কাউকে হার্ট করার উদ্দেশ্য নয়।]
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: