মাহমুদুল হাসান জসীম : কোন অজ্ঞাত কারণে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী হতাশ। এই হতাশা দূর করার মুখ্যম উপায় হলো নবীনরা।
প্রতি বছরান্তে এক দল নবীনদের আগমনে মুখরিত হয় পাবলিকের পবিত্র ক্যাম্পাস।
এই নবীনদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসার সময় বা ভর্তির সময় থাকার জায়গা বা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করে থাকেন অগ্রজরা, খানিকটা স্বভাবসুলভ কারণেই। স্কুল, কলেজ বা আঞ্চলিকতার ক্ষুদ্রতা ভেদ করে বিশ্ব মঞ্চে মানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে আসে একদল তরুণ তরুণী।
একবুক স্বপ্ন থাকে চোখে-মুখে। নতুন পরিবেশ, নতুন অবয়ব সব কিছুই নতুন।
আর ওই নীবনদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তবে বর্তমান সময়ে নীবনদের একটি বড় অংশ রাজনৈতিক সচেতন। তবে তারা যেন বিপদগামী না হয় সে চেষ্টাটা আমাদের করা উচিৎ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা ও খানিকটা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় দুনিয়ার সব কিছুই যেনো তুচ্ছ মনেহয়। একটু অসাবধানতায় হয়ে যেতে পারে কোন সিনিয়রের সাথে মনোমালিন্য, যা হয়তো সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস জীবনে বিবেককে পোড়ানোর জন্য যথেষ্ট।
সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের মর্যাদা না বুঝে, সাবজেক্ট রিভিউ না বুঝে অথবা মিস গাইডেড হয়ে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবনের শুরুতে বড়সড় ধাক্কা খায়। অথবা নিজে বড় হয়েছি এটা বুঝানোর জন্য নব্য ধূমপায়ী বনে যাই।
যেটাও ভবিষ্যতের জন্য হুমকির কারণ। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাই শেষ কথা না, এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিকতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে যা স্বীয় মেধার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
এসব সৃজনশীল কাজের মধ্যে নিজেদের সম্পৃক্ত করে সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে যদি পড়াশোনা শেষ করা যায়, তবেই আসতে পারে একদল প্রাণবন্ত গ্রেজুয়েট। তাই তাদের এসব বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে।
তারা যেন বিপথে যেতে না পারেন সেই দায়িত্বটা আমাদেরই নিতে হবে। অগ্রজের ভূমিকায় সদা অবিচল থেকে পজিটিভ ভূমিকা পালন করতে হবে।
যারা আগামীর সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সাহায্য করবে। দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নবীনদের জয় হোক।
মো. মাহমুদুল হাসান জসীম
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ,
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ২৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: