Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ডিপ্লোমেসি, কৌশলে টক্কর!

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৭, ০৮:৩৮

আরাফাত আবদুল্লাহ : ভার্সিটি লেভেলে ছেলে মেয়েরা কিছু টেকনিক মেইন্টেইন করে চলে। সহজ কথার অর্থ সব সময় সহজ না। ডিপ্লোম্যাসি না বুঝলে পার্সোনালিটি বলে কিছু থাকে না।

যে বন্ধুটা কথায় কথায় বলে ভার্সিটিতে এসে তার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না, বুঝতে হবে সে ক্যাম্পাসে এসেছেই পড়াশোনা করার জন্য। সাধারণত এই টাইপের ছেলে মেয়েরা হয় কিঞ্চিত সাইকো এবং ব্যাপক ধরনের চাপাবাজ টাইপের।

যে মেয়েটা কথায় কথায় বলে রিলেশন আমার ভালো লাগে না, বুঝতে হবে তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস কমপ্লিকেটেড। হয় সে কারো জন্য ঝুলে আছে না হয় অন্য কোন ছেলেকে সে নিজের জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে।

পরীক্ষা ভালো দেই নাই- টাইপের কথাবার্তা বলে যে বন্ধুরা হল থেকে বের হয়েই কান্নাকাটি করে তারা কোনদিনই ওই পরীক্ষাতে এ গ্রেডের নিচে পায় না। ওই ধরনের ডিপ্লোম্যাসির মূল থিমটাই হল আরেকজনের সাথে কৌশলে টক্কর মারা।

রেজাল্ট বের হলে ঠিকই একটা হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, আমি খারাপ পরীক্ষা দিয়ে যা করেছি, তুই ভালো পরীক্ষা দিয়েও সেটা করতে পারিস নাই।

পরীক্ষার হলে কোন বন্ধুকে ডাকলে সে যদি সাড়া না দেয়, তার মানে এই নয় যে সে আপনার ডাক শোনেনি। আসলে সে আপনাকে সাহায্য করতে চাইছে না।

আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডই থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার হয়ে আপনার রিলেশনে ব্রেকাপ ঘটায়। হোক ছেলে কিংবা মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডকে মেইন্টেইন করে চলুন। তাকে ফ্যামিলি বানিয়ে ফেলবেন না।

আপনার যে বন্ধুটা কথায় কথায় আপনার গার্লফ্রেন্ডের হয়ে উকালতি করার চেষ্টা করে তার ব্যাপারে খোঁজ নিন। সমূহ সম্ভাবনা আছে আপনার অনুপুস্থিতিতে ওই বন্ধুটিই আপনার বেডরুমে প্রবেশ করবে। বাকিটা ইতিহাস।

ডিপ্লোম্যাসির আরেকটা ধরণ হচ্ছে নিজেকে অতি পরহেজগার হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া। ফজরের নামাজ পড়ে স্ট্যাটাস দেয়া মানুষগুলো সাধারণত অতি পরহেজগারীর কারণে জোহরের নামাজটা পড়তে ভুলে যায়।

যে বন্ধুরা আপনার সফলতার কথা শুনে বাহবা দেয় সেই বন্ধুরাই আপনার অনুপুস্থিতে আপনার সাফল্যে বেশি ঈর্ষান্বিত হয়।

আপনার যে বন্ধুটি বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে বেড়াচ্ছে বেশিরভাগ সময়েই ওই সকল কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজেকে সবার কাছে একটু আলাদাভাবে তুলে ধরা এবং একটু প্রচার পাওয়া।

আপনার যে বন্ধুটি কথায় কথায় বলে সিজিপিএ কোন ফ্যাক্টর নয়, মূলত সেই, মানুষটাই সিজিপিএ বাড়ানোর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে।

ভার্সিটিতে পড়ার সময় রিলেশন ছিল, এমন কোন মেয়ে সম্পর্কে তার ভার্জিনিটি নিয়ে আগাম ধারনা করতে যাবেন না। জি, আপনার ধারনা সত্যি। উনার ভার্জিনিটি নাই। এবং এই কারণে তাকে বাজারের পণ্য মনে করবেন না। রেস্পেক্ট গার্লস।

ডিপ্লোম্যাসি, ফেইক ফর্মালিটি, চতুরতা এসব নিয়েই ক্যাম্পাসের দিনগুলো কেটে যায় খুব সাধারণ একটা ছেলের। টিউশনির টাকা ছেড়ে দেয়া ভালো মনের মেয়েটাও কোন না কোন কারণে একটা ফেইক মুখোশের আশ্রয় নেয়। জীবন বিচিত্র। তার থেকেও বিচিত্র ভার্সিটি লাইফ।


আরাফাত আবদুল্লাহ
(মধ্যরাতের অশ্বারোহী)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়



ঢাকা, ২২ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ