আরাফাত আবদুল্লাহ : অনার্স পাশ করার পরেই বোঝা যায় আসলে ক্যারিয়ার কী জিনিস। ধৈর্য ঠিক কতটুকু রাখা সম্ভব সেটা বোঝা যায় এই অনার্সের পরেই। চাকরির আশায় বিডি জবসের পাতায় চোখ রাখা। কোন কিছুই ব্যাটে বলে মেলে না।
কোথাও সিজিপিএ বেশি চায়।
কোথাও চায় অভিজ্ঞতা।
আবার কোথাও সিজিপিএ নিজের নাগালের মধ্যে থাকলেও বেতনের লেভেল দেখলে উৎসাহ হারিয়ে যায়।
যখন একটা হ্যান্ডসাম জিপিএ নিয়ে নিশ্চিন্তে আছেন, চাকরিটা আপনার হবেই, ঠিক তখনই দেখলেন চাকরিটা আপনার হয়নি। চাকরিটা পেয়েছে লাস্ট বেঞ্চের লাস্ট জিপিএধারী ছেলেটা।
সারাজীবন স্বপ্ন দেখে এসেছেন দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে পড়ে সেরা চাকরিটাই আপনার হবে। কিন্তু চাকরির বাজারে এসে সব উল্টে গেলো। ইন্টার্ভিউ দিতে দিতে জুতার তলা ক্ষয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চাকরির দেখা নাই। সার্টিফিকেটগুলো ব্যাঙ্গের হাসি দেয়।
বহুত পরিশ্রম করে বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু প্রথম বিসিএসের প্রিলিতেই আউট। পরের বিসিএস দেয়ার মতো এনার্জি তখন থাকবে?
বাপ মা, কাজিন আর খালাতো ভাইদের ফিরিস্তি শোনায়। অমুকে এই করেছে, তমুকে সেই করেছে, তুমি কি করেছো?
চাকরি হইলেই যে সব ঠিক হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। চাকরিটা হইতে হবে রাজসিক। যেন সবাইকে বলে বেড়ানো যায়।
ভার্সিটির একটা ছেলে এতো কিছু পেরিয়েই কিন্তু চাকরিটা পায়। একটু দেরিতে হলেও পায়। কিন্তু ধৈর্যটা সবার থাকে না। যাদের জীবনে একটা করে বেলা বোস থাকে তারা অনেকেই ক্যারিয়ারের সময় তাদের বেলা বোসকে হারিয়ে ফেলে।
জীবনটা সবসময় গানের লিরিক্সের মতো সুন্দর হবে তা কিন্তু নয় !! তবে ধৈর্য ধরাটা খুব জরুরী।
আরাফাত আবদুল্লাহ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ১১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: