Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

গার্লফ্রেন্ড মেডিকেলে পড়ে, তাই সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষা!

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৭, ০৮:২৪

মুহাম্মদ মাহদী হাসান সৈকত : ক্যাম্পাসে আজ এক জুনিয়রের সাথে পরিচয় হল, সে মেডিকেলের জন্য সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেবে। এর কারণ এই নয় যে তার ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো লাগে না, কারণ হল তার গার্লফ্রেন্ড মেডিকেলে পড়ে।

এখন সেও যদি মেডিকেলে চান্স পায়, তাহলে গার্লফ্রেন্ডের পরিবারকে একটা বুঝ দেয়া যায়। যাতে তাদের রিলেশনে সমস্যা না হয়।

আমার এক রুমমেটের গফ গতবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছিল। এজন্য সে এবার সাস্টের জন্য সেকেন্ড টাইম প্রিপারেশন নেয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত ব্যর্থ হয়। এতে তার জীবনের মূল্যবান এক বছর নষ্ট হয়ে গেছে।

এখানে লক্ষণীয় ব্যাপার হল এই সময়কার তরুণরা আসলে স্বত্ত্বাহীণতায় ভুগছে। তারা তাদের সামনে কোন আদর্শ পাচ্ছেনা।

বিদেশী ডিগ্রিধারী প্রফেসরদের চেম্বারে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে প্রত্যেক বাবারাই তার সন্তানকে ডাক্তার বানানোর তীব্র বাসনা হৃদয়ে জাগিয়ে তোলেন। কিন্তু দেখা গেলো তার ছেলেটার বিল্ডিং ডিজাইন খুব ভালো লাগে।

অন্য দৃশ্যও দেখা যায়, ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাচ্ছে। কিন্তু মেয়ের বাবার ডাক্তার ছেলে পছন্দ। তখন সে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য ডাক্তারির জন্য উঠেপড়ে লাগে।

ডাক্তারি পড়াতে কোন সমস্যা নয়। কিন্তু আসল সমস্যা শুরু হয় চান্স পাওয়ার পর। ছেলেটা ডাক্তারিতে চান্স পেয়েছিল মেয়েটার জন্য, ডাক্তার হওয়ার জন্য না।
অথবা বাবা মার ইচ্ছা পূরণের জন্য। চান্স পেয়ে কিন্তু সে স্বপ্ন পূর্ণ হয়ে গেলো।

কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় বাবা-মার কাঙ্ক্ষিত সেই চেম্বারের সামনে লম্বা লাইন দাড় করাতে তার জীবনের বসন্ত পেরিয়ে বর্ষাকাল (রেইনি ডে) চলে আসে।
মেয়ের বাবার স্বপ্নও পুরোপুরিভাবে সফল হয় না, মানসিক চাপটা বাড়তে থাকে।

লেখার প্রথমে লিখেছি আদর্শের অভাবের কথা।
এখন বলি সেটা কিভাবে -
টিনএজ বয়সে যারা সহজেই আবেগতাড়িত হয়ে যায়, তারা পরবর্তিতে নিজের মস্তিষ্কের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেনা।

যখন আপনার আশেপাশের জগত নিয়ে চিন্তা করার কথা, তখন আপনি একজনের জগতে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন। এতে আপনার চিন্তা জগত হয়ে যাচ্ছে সংকীর্ণ।

এই ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় হল নিজেকে সময় দেয়ার হার বাড়ানো।

একজন লেখকের মাথায় তখনি সবচেয়ে ভালো আইডিয়া আসে, যখন সে করার মতো কোন কাজ পায়না।
আর সায়েন্টিস্টের মাথায় আইডিয়া আসে কাজ করতে গিয়ে ভুল হলে।

আদর্শের অভাব মানে হল, এরকম কিছু মানুষকে হাইলাইট করার ব্যর্থতা, যারা নিজেদেরকে বেশী সময় দিতে পেরেছে এবং নিজের জন্য কিছু করেছে,
অন্যকে পাওয়ার জন্য বা অন্যের স্বপ্ন পূরণের জন্য নয়।
আর তারাই সবচেয়ে সফল, যারা নিজের অর্জনকে নিয়ে কাজ করে আরো বড় কিছু করতে চায়।

যেমন, তুমি ভার্সিটিতে একটা সাবজেক্ট পেলে, যেটা তুমি চাওনি। এখন তুমি যদি এই সাবজেক্ট নিয়েই খুশি থেকে এই নিয়েই ভালো করতে চাও, তাহলে তুমি সবচেয়ে ভালো করতে পারবে।

তুমি একটা সাবজেক্ট আশা করেছিলে, অথচ তা পাওনি। তার মানে তুমি তার যোগ্য নও।
তুমি যেটার যোগ্য, সেটাই পেয়েছো।
এখন উচিৎ হবে যোগ্যতা দিয়ে প্রাপ্ত বিষয় নিয়েই নিজের যোগ্যতাকে আরো উন্নত করা।


মুহাম্মদ মাহদী হাসান সৈকত
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

ঢাকা, ১১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ