সাদী খান : বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ফার্স্ট সেমিস্টারের দিনগুলো অনেক মজার হয়। চলুন দেখে নেই ফার্স্ট সেমিস্টারের স্টুডেন্টদের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন তাই সবার শরীরে আলাদা একটা ভাব কাজ করে!
.
২. সবাই বাড়িতে যাওয়ার আগে নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টের নাম ও ভার্সিটির লোগো সম্বলিত টিশার্ট বানায়!
.
৩. সবাই নতুন, তাই তখন ডিপার্টমেন্টে কোন গ্রুপিং থাকেনা। একসাথে দলবেঁধে ঘুরতে যাওয়া হয়।
.
৪. বড়ভাই ছোটভাই যাকেই সামনে পায় তাকেই সালাম দেয়।
.
৫. অনেকেই নতুন ফেসবুক আইডি খুলে! আইডির নামগুলো অনেক ক্রিয়েটিভ হয়!
.
৬. আইডি খোলার পর তার স্ট্যাটাসগুলোও অনেক ক্রিয়েটিভ হয়। যেমন... কাঁঠালতলায় বসে বন্ধুর সাথে একটা সেলফি দিলাম, কে জানি বলছিলো ভার্সিটিতে কোন পড়ালেখা নাই তারে এখন পাইলে ধইরা আচ্ছামত পিঠাইতাম, ক্লাসে স্যার আসেনা আজাইরা বইসা আছি ইত্যাদি!
.
৭. যারা হলে উঠে তাদের রক্ত থাকে খুব গরম! হলের রাজনৈতিক বড় ভাইয়েরা বিভিন্ন ধরনের আশা ভরসা দেয় তাই ক্যাম্পাসে নেতা নেতা একটা ভাব নিয়ে চলে কিছুদিন!
.
যতই দিন যেতে থাকে ফার্স্ট সেমিস্টারের পিচ্চি গুলা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। একসময় আবার নতুন কোন ফার্স্ট সেমিস্টারের কেউ চলে আসে। তাদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়ে গায়ে সিনিয়রের তকমা লাগাতে হয়। আস্তে আস্তে ভাব কমে যায়, ডিপার্টমেন্টে গ্রুপিং বাড়তে থাকে, ঘুরাঘুরি কমে যায়, আইডির নাম চেঞ্জ হতে থাকে, স্ট্যাটাসের ধরনও চেঞ্জ হতে থাকে। গ্রাম থেকে আসা ক্ষেতগুলো আস্তে আস্তে স্মার্ট হয়ে যায়।
কিন্তু ফার্স্ট সেমিস্টারের ক্ষেতমার্কা দিনগুলোকে তারা কখনো ভুলতে পারেনা। একটা সময় তারা যখন খুব সিনিয়র হয়ে যায় তখন বারবার শুধু ফার্স্ট সেমিস্টারের ক্ষেতমার্কা দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু ফার্স্ট সেমিস্টারের ক্ষেতমার্কা দিনগুলো জীবনে আর কোনদিন ফিরে আসেনা।
সাদী খান
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ০৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: