আদনান হোসাইন সাকিব : ভাইভা বোর্ডে বসে আছি ছাগলের মতো। সামনে সব বাঘ সিংহরা বসে। আমার দিকে ক্ষুধার্ত দৃষ্টি সকলের। এই বুঝি হালুম মালুম বলে খেয়ে ফেলবে। একটু পড়েই তীরের সাথে ছুড়ে দেবে প্রশ্ন, আপাতত তারা আমাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমার মত ছাত্র Ashes এর গানের লিরিক্সকেও মিথ্যে বানাতে যথেষ্ট। যেখান প্রশ্ন জটিল করলেই জটিল হবে, সহজ করলেও জটিল। তো শুরু হল প্রশ্ন।
-আজ যে পরীক্ষা দিলে তার কোর্সের নাম কি?
আমি মাথা নিচু করে রইলাম, কারণ ভিতরের প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করেছি কিন্তু কোর্সের নাম তো না। কোর্সের নাম তো প্রশ্নের উপরেই লেখা থাকে, ওখান থেকেই খাতায় লিখি!!
স্যার হতাশ হল। তারপর আবার জিজ্ঞেস করল
-আচ্ছা তাহলে বল এই কোর্সের চ্যাপ্টারগুলোর নাম কি?
আমি আবার মাথা নিচু করে রইলাম। চ্যাপ্টারের নাম তো মুখস্ত করি নি! কি করে বলব!!
স্যার আবার হতাশ। এবার বললেন
-আচ্ছা কোন চ্যাপ্টার ভালো পারো সেটা বলো।
মাথা আমার নিচুই রইল। চ্যাপ্টারের নামই যার মনে নেই সে কিভাবে বলবে কোন চ্যাপ্টার ভালো পারে।
স্যার পুরোপুরিভাবে হতাশ হয়ে বললেন
-আচ্ছা শেষ প্রশ্ন। বল, যে কোর্সের পরীক্ষা দিলে তা কোথা থেকে উৎপত্তি! আর এই কোর্সের জনক কে?
এবার আমার মাথা ডাবল উঁচু হয়ে গেল।
৩১ টা দাঁত (একটা দাত পোকা খেয়ে ফেলছে) খুশিতে বের হয়ে গেল। এই প্রশ্ন কমন পড়েছে।
স্যার দেখে বললেন
-কী পারবে এটা?
আমি বললাম জ্বী স্যার, এটা তো সোজা।
স্যার অবাক হয়ে বলল
-সোজা প্রশ্ন পারলে না আর এই কঠিনটা পারবে। যাও পাড়লে তোমাকে ফুল নম্বার দেব। বল এবার।
আমি বললাম কোর্সের উৎপত্তি সরোয়ার ফটোস্ট্যাট, আর কোর্সের জনক Sarwar Hossain ভাই। তার কাছ থেকেই এই কোর্সের শিট এনেছি স্যার।
জানিনা এরপর কি হল! স্যার হাতের ইশারায় আমাকে বের হয়ে যেতে বললেন, তার নাকি মাথা ঘুরাচ্ছে।
অাদনান হোসাইন সাকিব
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ০৩ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: