হাসান জসিম: শিক্ষক হলো জাতির সূর্য সন্তান, মনুষ্য জীবনের আলোকবর্তিকা বাহক। একপিন্ড নিষিদ্ধ রক্ত থেকে গড়ে উঠা একটা অবয়বকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবার চমৎকার কারিগর হলো শিক্ষক। ছোট সময় তেমন পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক ছিলো না, শরীর বাঁচিয়ে পড়াশোনা আরকি।
পড়াশোনাও যে একধরণের মজা বা এর সাথেও যে প্রেম হয় তা জানা ছিলো না। ঝড়ে পরার সম্ভাবনা যখন উঁকি দিচ্ছিলো, ঠিক তখনই দেখা হলো প্রিয় স্যার সারোয়ার হোসাইন মিনহাজ স্যারের। ময়মনসিংহ শহরস্থ একটা স্বনামধন্য কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. শেষ করে সবাই যখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং-এ ব্যস্ত।
স্যার তখন চলে গেলেন গ্রামে। ওনার অগ্রজ কিছু বড় ভাইদের সহায়তায় গড়ে তুললেন "মায়ের কোল প্রি-ক্যাডেট স্কুল "। এই মানুষটি নিজের শতভাগ উজার করে দিয়ে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্থান করে নিয়েছিলেন মনের ভেতরকার প্রকোষ্ঠে।
তখন আমি ৫ম শ্রেণীর ছাত্র; প্রথম জীবনের প্রেম প্রিয় স্যারের প্রতি। যা আজও অক্ষয়, অব্যয়। তথাকথিত উচ্চাশা বাদ দিয়ে, মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবেই নিজের জীবনের পূর্ণতা খুঁজছেন প্রতিনিয়ত। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত। বছরের পর বছর স্বীয় আলোর প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন হাজারও তরুণের মাঝে।
দীর্ঘ ছাত্র জীবনে বহু শিক্ষকের শরণাপন্ন হয়েছি; কিন্তু মনের ভেতর একাধিক লোকের গতায়াত যেমন চারিত্রিক কলুষতা প্রকাশ করে। ঠিক তেমনই প্রিয় শিক্ষক হিসেবে আপনার বিকল্প কাউকে কোনদিন চিন্তা করতে পারি নি; হয়তো পারবোও না।
কখনও সামনাসামনি বলা হয়নি যে, কতটা ভালোবাসি স্যার। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বলেই দিলাম, অনেক ভালোবাসি প্রিয় মিনহাজ স্যার।
বি:দ্র: আমার এই লিখা যদি আমার কোন শিক্ষকের মন:কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, ক্ষমা চাই।
মাহমুদুল হাসান জসিম
শিক্ষার্থী
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ০৫ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: