গোলাম রব্বানী : ঘটনা আজ সকাল ৭.৪০ মিনিটে। আমি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফার্মগেট আসবো বলে বাসের অপেক্ষায় ঐ রোডে দাড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস আসলো। আমার মনে হলো এই বাসটিতে আমি উঠতে পারি, পেছনের দরজায় দৌড় দিয়ে উঠে পরলাম এবং দরজার সাথে দাড়িয়ে থাকা এক স্টুডেন্ট বলল ভাই আপনার আইডি কার্ডটা দেখি।
বললাম আমিও স্টুডেন্ট ভাই তবে ঢাকা নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট। মানিব্যাগ থেকে সাথে সাথেই আমার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বের করলাম এবং বললাম মিথ্যে বলেনি, এই যে কার্ড। উনি আইডি কার্ড না দেখেই জোর গলায় বললেন গাড়ি থেকে আপনি নেমে যান।
ততক্ষণে গাড়ি গতি নিয়ে চলছেই, পাশ থাকা দুজন ছাত্র ড্রাইভারকে চিৎকার করে গাড়ি থামাতে বললেন, হয়তো ড্রাইভার শুনতে পায় নি তাই গাড়িটি গতি নিয়ে চলছেই।
আমি বললাম ভাই কোন সমস্যা নাই বাসটি থামলে আমি নেমেই যাব। আপনাদের এতো কথা শোনাতে হবে না। কিছুক্ষণ পর বনানীতে বাসটি থামাতেই উনি আমায় নামতে বললেন, আমি ধন্যবাদ দিয়ে নেমে পরলাম।
খারাপ লাগাটা হচ্ছে..
ঢাবির স্টুডেন্টদের সঙ্গে আমি কোন তর্কে যাইনি, ওদের দৃষ্টিভঙ্গিও ইতিবাচক ছিলো না। এসময় বার বার রাবির বাসগুলোর কথা মনে হলো, কই আমাদের স্টুডেন্টরাতো এমনটা করে না? রাজশাহী কলেজ থেকে শুরু করে সাহেব বাজারের কত ছাত্রই না আমাদের বাসে উঠে, ঢাবির কত ছাত্রইতো রাজশাহী এলে আমাদের বাসে উঠে। এনিয়ে কেউ কোন কথা বলেন না। রাবিয়ান বনাম ঢাবিয়ান পার্থক্যটা এবার উপলব্ধি করতে পেরেছি।
লাভ ইউ রাবি, লাভ ইউ রাবিয়ান। তোমরা এমন কিছু করো না প্লিজ। আমি পরিচয় দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের প্রতি এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। না আমি অন্যবাসেও উঠতে পারতাম, এই বাসটি আগে এসেছে বলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বলেই হয়তো আবেগে উঠেছি। তাছাড়া ঢাবির এই দ্বিতল বাসগুলো অনেকসময় পাবলিক বাসেও পরিণত হয়,
আমি নিজেই এর আগে অনেকবার ৫/১০ টাকা ভাড়া দিয়ে উঠেছি।
গোলাম রব্বানী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[সংগৃহীত]
ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: