আরাফাত আবদুল্লাহ : আসলে ৫ বছরের পড়াশোনা শেষে কে কোথায় যাবে একথা আগে থেকে বলা মুশকিল। ক্যাম্পাসের সব থেকে সুন্দরী যে মেয়েটির জন্য হাহাকার করতেন, নামে বেনামে যাকে নিয়ে কনফেশন করতেন, সেই মেয়েটিকেই হয়তো দেখবেন আপনার স্ত্রী হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
রেজাল্টের ভয়ে যে পজিশনে কখনো যাওয়ার কল্পনা করেননি, গিয়ে দেখুন বিধাতা সেই আসনটা আপনার জন্যই রেখে দিয়েছেন। আপনার জন্যই তা সংরক্ষিত আছে।
জীবন একটা এক্সাইটমেন্ট। প্রতি মুহুর্তে সাসপেন্স। প্রতি মুহুর্তে আঘাতের গল্প। প্রতি মুহুর্তে সেই আঘাত রুখে দেয় পাল্টা আঘাতের গল্প। জীবনে হাত মেলাতে পারেননি এমন মানুষটাও হয়তো একদিন আপনার সাথে হাত মেলানোর জন্য অপেক্ষা করবে।
বিলিভ মি...
জীবন কাউকে বঞ্চিত করে না। উপরওয়ালা কারো মধ্যেই কমতি রাখেননি।
অখ্যাত ক্যাম্পাস থেকে পাস করেছেন বলে হীনমন্যতায় ভুগছেন। অথচ বিধাতা হয়তো এমন কিছু লিখে রেখেছেন কপালে যে কোন না কোন ভাবে এই আপনিই কোন বিখ্যাত ক্যাম্পাসের মধ্যমণি হয়ে যাবেন।
জাস্ট ভরসা রাখুন।
চেষ্টা চালিয়ে যান। বিধাতা কাউকেই বঞ্চিত করেন না। এটা তার চরিত্রের মধ্যেই নেই। সবাইকে তার পাওনাটা তিনি বুঝিয়ে দেন।
আপনাকে দিয়ে যে কষ্ট করিয়ে নেয়া হচ্ছে যে অবিরাম লাঞ্ছনার মধ্যে আপনাকে ফেলা হয়েছে, নিঃসন্দেহে তার কোন না কোন কারণ আছে। এর পাল্টা প্রতিদান আছেই। থাকতেই হবে।
তিনবার বিসিএস দিয়েও কোন লাভ হয়নি। হতে পারে চতুর্থ বিসিএসে ফরেন ক্যাডারশিপটাই আপনার কপালে লিখা আছে।
পাবলিক ভার্সিটির সার্টিফিকেট কপালে জোটেনি। তাতে কী? হইতে পারে ভবিষ্যৎ আপনাকে দুই হাত ভরে দেয়ার জন্যই ওই কষ্টের মধ্যে ফেলেছে।
মেডিকেলের জন্য দিন রাত পড়াশোনা করেও চান্স হয়নি। দুই দুইটা গোল্ডেন নিয়ে এখন লজ্জায় আছেন। শান্ত থাকুন। আরো ভালোকিছু অপেক্ষা করছে।
ভরসা রাখুন। কারণ উপরওয়ালা ইনসাফ করতে পছন্দ করেন। এটা তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এখানে ভুল হয় না। জীবনে আমরা যা কিছু হারাই সব কিছুই এমন কিছু দিয়ে রিপ্লেস হয়ে যায় যে হারানোর যন্ত্রণাটাই আর থাকে না। এটাই নিয়ম।
তবে এর জন্য চেষ্টা করতে হয়।
ভাঙা পায়ের উপর ভর দিয়েই এগিয়ে যেতে হয়।
তবেই সফলতা আসে।
আসতে বাধ্য।
Arafat Abdullah (মধ্যরাতের অশ্বারোহী)
University Of Chittagong
ঢাকা, ২৮ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: