আরাফাত আবদুল্লাহ : ইবিতে এক ছেলে প্রেমিকার জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়েছিল। আমাদের চবিতে বারী ভাই ভালোবাসার মানুষটার জন্য এখনো ক্যাম্পাসেই রয়ে গেছে। ঢাবিতে রোকেয়া হলের সামনে এক বড় ভাই প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করতো। শুনেছিলাম বিসিএস দিয়ে পুলিশের চাকরিতে জয়েন করার পরেও তার মানসিক স্থিরতা আসেনি। শেষ পর্যন্ত চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে সে হয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন রোমিও।
যাদের জন্য এতো ডেডিকেশন সেই প্রেমিকারা কেমন আছে? টুম্পা একজন ব্যাবসায়ীকে বিয়ে করে নিয়েছে। ছোট্ট সুন্দর সংসার তার। একটা মেয়েও আছে। বারিধারায় থাকে। গাড়ি ছাড়া চলে না।
রোকেয়া হলের শর্মি বিসিএস দিয়েছিল। এখন কাস্টমস কর্মকর্তা। বিয়েও করবে তার মতোই একজনকে। একটা ছেলে ভার্সিটিতে তার জন্য দিওয়ানা ছিল। শর্মি তাকে গুনেও দেখেনি।
চবির মারিয়া তার থেকে ১৫ বছরের বড় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছে। গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে। ছেলেরা তাকে দেখে ফ্যান্টাসি নেয়। কিন্তু প্রেমিকা বানানোর স্বপ্ন দেখে না।
আসলে জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। আমাদের গল্পের নায়িকারা স্বামীর ঘরে সুখেই থাকে। আপনার কথা ভেবে তারা মন খারাপ করে না। করার কারণও নেই।
যে মানুষটার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা আপনি হলের সামনে অপেক্ষা করেছেন সে এখন অন্যের স্ত্রী। আপনাকে দেখলে চেনেও না। একটা হাসি দিয়ে চলে যায়। LET IT BE... এটাই স্বাভাবিক।
নির্বোধ তারাই যারা প্রেমিকার জন্য জীবন ঠেকিয়ে রাখে। জীবনে অপরিসীম পরিশ্রম করুন। নিজেকে ভালোবাসুন। মানুষের ভালোবাসা পাবেন। যে আপনার থেকে সরে গেছে আপনিও তার থেকে সরে যান। ভালো থাকবেন।
ছেলেটা এক সময় ভালোবাসার কাঙাল ছিল। কিন্তু পায়নি। আজকে সে টাকা দিয়ে ভালোবাসা কিনে বেড়ায়। এটাই নিয়ম। জীবন কাউকে ঠেকায় না। যে যেভাবে চায় জীবন তাকে সেভাবেই পরিপূর্ণ করে। ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য একটা মুচকি হাসি থাকতে পারে। কিন্তু হতাশার গল্প নয়। কেননা যে চলে যায় সে কখনো জীবনে থাকার জন্য আসেনি।
keep going... just move on
Arafat Abdullah (মধ্যরাতের অশ্বারোহী)
University Of Chittagong
ঢাকা, ২২ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: