Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ, এভাবে প্রতিবাদ নয়!

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৮, ১৫:২১

মন্তব্য প্রতিবেদক : পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। জীবন এখানে এসে ডানা মেলে ধরতে শুরু করে। মেধাবীদের বিচরণক্ষেত্র এই ক্যাম্পাসে এসে অনেকের মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন খেলা করে। তবে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেলে ভয়ংকর প্রতিবাদের নজির এর আগে কখনও হয়নি। জীবন দিয়ে প্রতিবাদ করে এমনই নজির তৈরি করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র দেবাশীষ মণ্ডল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনি একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করে গেছেন। তার এভাবে প্রতিবাদী হয়ে চলে যাওয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

অনার্স ও মাস্টার্সে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হয়েও শিক্ষক না হওয়ার কষ্টের চেয়ে লজ্জা দিয়েছে তার কাছে চাওয়া ১৫ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শুধু ভালো ছাত্র হলেই হবে না। সঙ্গে অর্থের পাশাপাশি লাগবে রাজনৈতিক শক্তি। দলীয়করণে হাজারো হৃদয়ের ভয়ঙ্কর রক্তক্ষরণ ওই ছাত্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।

খবরে প্রকাশ দেবাশীষ মণ্ডল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন লালন করেছেন। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করেছেন। অনার্স ও মাস্টার্সে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হয়েছেন তিনি। প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার। এরই ফাকে কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পেশায় মনোনিবেশ করলেও তার স্বপ্নটা খেলা করেছে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে। এই ক্যাম্পাসের আলো-বাতাসে তার স্বর্ণযুগ কেটেছে। তাই সেখানেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। সম্প্রতি তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভাও দিয়েছেন। কিন্তু নিয়োগের জন্য তার কাছে দাবি করা হলো ১৫ লাখ টাকা। ১০ লাখ টাকা জোগাড়ও করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাকি ৫ লাখ টাকা জোগাড় করার আগেই জানতে পারলেন তার জায়গায় আওয়ামী লীগের এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার সকল আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তিনি। জীবন দিয়ে এর প্রতিবাদ করেছেন। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এটি কোন আত্মহত্যার ঘটনা নয়। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। একজন মেধাবীর স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারে না। এ ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে, কারা ওই ছাত্রকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। নয়তো এমন নজির বারবার সৃষ্টি হবে।

অামরা এমন নজির আর দেখতে চাই না। দলীয়করণ আর অর্থের বিনিময়ে নয় মেধাই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের নিয়ামক শক্তি। আত্মহত্যা কোন ঘটনার সমাধান নয়। এটা কোন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। এটা স্রেফ বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। জীবন দিয়ে নয় বেঁচে থেকে শক্ত হাতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। উন্মোচন করতে হবে দুর্বৃত্তদের মুখোশ।

ঢাকা, ১৬ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ