মন্তব্য প্রতিবেদন : বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য রয়েছে পোষ্য কোটা। ওই কোটায় তাদের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্নবিলাস করে। এটা দোষের কিছু নয়। শিক্ষকরা যেহেতু মেধাবী, তাদের সন্তানরাও নিশ্চই মেধাবী হবেন। তাই তারা কোটার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেই পারেন। বাবা-মা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা বিলিয়ে দিয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানরা স্বপ্নবিলাস করবে সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে তখন যখন দেখা যায়, সন্তানদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইয়ে দিতে কোটার বাইরেও বিশেষ সুযোগ করে দেয়া হয়। মানে কোটাতো আছেই তার বাইরেও শর্ত শিথিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবদার পূরণ করে দেয়া।
সম্প্রতি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটার বাইরেই শর্ত শিথিল করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। কোটার বাইরেও মাত্র ২৬.৪০ নম্বর পেলেই নাকি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেয়া যাবে এমন নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কতিপয় শিক্ষক-কর্মকর্তার ছেলেমেয়েদের এটা যেন মামার বাড়ির আবদারের মতই। যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মেধাবীরা ঝরে পড়ছে সেখানে নিজেদের স্বার্থে ন্যূনতম নম্বরেই ভর্তির সুযোগ দেয়া হচ্ছে। মানে পরীক্ষায় অংশ নিলেই ওদের চান্স!
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-১৮ সেশন) এমন শর্ত শিথিল করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ছেলে-মেয়েরা কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপ দিয়ে ইবিতে ভর্তির এমন সহজ শর্ত দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আমরা এমনটি দেখতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হোক মেধার বিচরণ ক্ষেত্র। কোন বিশেষ ব্যক্তির স্বার্থে মেধার অবমূল্যায়ন দেখতে চাই না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
আগের খবরের জন্য ক্লিক করুন : ইবিতে কোটায় ২৬ পেলেই ভর্তির সুযোগ, তোলপাড়!
ঢাকা, ১০ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: