Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ভার্সিটির মেয়েরা কী এমন হয়!

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০১৮, ১৯:১৯

আরাফাত আবদুল্লাহ : কয়েকদিন থেকে যে কথাটা অনলাইনে প্রশ্নবোধকের মতো ঘুরেছে সেটা হচ্ছে, ভার্সিটির মেয়েরা কেমন হয়? নগ্ন অর্থেই কথাটা ইউজ করছে সবাই!
এরা কী মারামারি করে?
এরা কী অন্যের কাপড় খুলে বেড়ায়?
এরা কী ছুরি মেরে আলোচনায় আসে?
এদের পড়াশোনা কী কাজে লাগে?

বহুকাল আগেই এটিএন বাংলায় একজন বিদেশি তরুণের একটা ডকুমেন্টারি প্রচার করা হয়েছিল। এই নির্মাতা তার ক্যামেরাটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এমন সব জায়গায় ফোকাস করেছিলেন যেটা দেখলে মাথার মধ্যে কোপ পড়ে।

ঢাকার একটা ক্যাম্পাসের হলের আশেপাশের কোন জায়গায় এক তরুণী বয়ফ্রেন্ডের সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছে। যখন জিজ্ঞেস করা হলো, ধরুন এই ছেলেটা একা পেয়ে আপনাকে ক্ষতি করে ফেলল। তখন কি করবেন?

তরুণী খুব বোল্ডলি উত্তর দিল, আমার শিক্ষা আমাকে রক্ষা করবে।
ডকুমেন্টারিতে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, শিক্ষাটা আসলে কী? বাপ মা কী তার মেয়ের খবর জানে? শিক্ষা মানেই কী এটা যে বাপ মাকে ফোনে সুন্দর করে মিথ্যে বলে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া? এই শিক্ষা কী আদৌ রক্ষা করতে পারবে?

অন দ্যা স্পট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি খেয়াল করুন। নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত একটা মেয়ে ক্যামেরার সামনে যেভাবে আরেক মেয়েকে বিবস্ত্র করে দিতে চাইলো এবং পরবর্তিতে ফেসবুকে এসে যেভাবে নেত্রী সুলভ মনোভাব নিয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইলো তাতে কিন্তু তার শিক্ষার ফাপড়বাজি প্রকট।

শুধু হাতে নাতে ধরা পড়েছে বলে এই অবস্থা। ভেতরের গল্প বলছি। নাম করা একটা কলেজের মেয়েদের হলে গিয়ে জানা গেল, সেখানে যারা সিট পায় তাদেরকে থাকতে দেয়া হয় না। যারা থাকে তারা সবাই পলিটিক্যাল। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। কেউ যদি সিটে উঠতে চায় তবে তাকেও দফা রফা করে উঠতে হয়। মানে হইলো, হয় আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বড় ভাইদের রুমে গিয়ে হাজিরা দিয়ে হল লাইফ উপভোগ কর। নতুবা ক্যাম্পাস থেকে ভাগো।

হাততালি দিয়ে একটা গ্রুপকে হেনস্তা করার কিছু নেই। গল্প এখনো বাকি আছে। রাজনীতি মানে রাজনীতি। ইসলামিক রাজনীতি কিংবা চেতনার রাজনীতি বলে কিছু নেই। সবই ধান্দা। প্রমাণ আছে।

নিজের ধর্মটাকে উন্নত করার জন্য, ধর্মীয় জীবন যাপনের জন্য একটা মেয়ে সরল মনেই কোন একটা গ্রুপে (অবশ্যই রাজনৈতিক) যোগদান করলো। প্রথম দিকে সবই ঠিক। কাহিনি শুরু এরপর থেকে। সেই রাজনৈতিক দলের বড় ভাইরা বিভিন্ন সময় ফেসবুকে তাকে নক করে। যেহেতু চেতনার রাজনীতি করে না তাই সরাসরি কিছু করলে সমস্যা। টিউশন দেয়ার নাম করে মেয়েদের সাথে নির্জনে দেখা করতে চায় এই সকল নেতারা। বিয়ে করে নেবো, এই করবো, সেই করবো বলে কাছে ঘেঁষতে চায়। বাধ্য হয়ে মেয়েটা গ্রুপ থেকে বের হয়ে আসছে। এখন সে একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিমা। কোন দলের সমর্থক না।

তবে ভালো মন্দ মিলিয়েই আমাদের সমাজ। একটা ক্যাম্পাসে সবাই খারাপ হয় না। বিশ্বাস করুন, যে মেয়েটা বন্ধুর জন্য নোটস তৈরি করে দেয় সে কিন্তু এসব নেতাগিরি করার সময় পায় না। আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম মেয়ে আমরা দেখি। হরহামেশাই দেখি। আমাদের মেয়েরা দৌড়াইয়া শাটলও ধরতে পারে। তিনটা টিউশনিও করতে পারে। আবার রুমে এসে চার পদের রান্নাও করতে পারে।

শুধু চবি কেন? ঢাবিতে যান। খবর নিয়ে দেখুন সেখানে শুধু এরকম ডাকাত মেয়ে নয়, ভালো মেয়েও আছে। নিউজটা ভালো মেয়েদের নিয়ে হয় না। হয় খারাপ মেয়েদের নিয়ে। কারণ, খারাপ মেয়েদের চাহিদা আদিম কালেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

সবাই কি আর সস্তা হতে পারে? পারে না... একদমই পারে না।

Arafat Abdullah (মধ্যরাতের অশ্বারোহী)
University Of Chittagong

ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ