Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

প্রমাণ করো তুমি স্পেশাল : ক্রাশ পেইজে নয় জীবনের গল্পে

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৮, ১৯:৩৭

আরাফাত আবদুল্লাহ : আপনার ক্যাম্পাস কিংবা ক্লাসমেটদের মধ্যেই দেখবেন কিছু কিছু ছেলে মেয়ে আছে একদম ছন্নছাড়া টাইপের। অনেকটা দলছুট হরিণের মতো। সবার সাথেই আছে কিন্তু কারো সাথেই নেই।

পরীক্ষার হলে বসে সবাই যখন প্ল্যান করে এই প্রশ্ন এইভাবে লিখবো, ওই প্রশ্ন ওইভাবে লিখবো, তখন ওই ছেলেটা এক কোণায় বসে শিট আউড়াতে থাকে। কারো কথায় তার কান নেই।

কনফেশন পেইজে পোস্ট এলে বন্ধুরা গিয়ে সেখানে মজা করে। সবার সাথে থেকেও অসামাজিক এই মানুষটা কিন্তু সবার সাথে যোগ দেয় না। সে শুধু দেখে। দেখেই শান্তি পায়।

সেই হিজাব পরিহিতা মেয়েটার কথা চিন্তা করুন, যে কিনা সোজা ক্লাসে এসে ক্লাস করেই চলে যায়। টিএসসির আড্ডাতেও তাকে পাওয়া যায় না কিংবা ঝুপড়ির দুষ্টামিতেও মেয়েটার অংশগ্রহন নেই।

অথবা ভাবুন সেই ছেলেটার কথা!!!
যে কিনা বগিতে সবার সাথেই বসে। কিন্তু আড্ডটায় সবার সাথে নেই। আপনার সেই বন্ধুটা যাকে কোন কারণ ছাড়া ফোন দেন না কখনো। আছে না এরকম ?

সেই মেয়েটা যে কিনা আজীবন সিঙ্গেলই থাকে। যার এনগেজড হওয়া নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। কেউ তাকে নিয়ে কনফেশন দেয় না।

অথবা আপনার ক্লাসের সেই ছেলেটা যাকে জিরো পয়েন্টে সবসময়ই একা দেখা যায়। যে কিনা কখনো "কেন সিঙ্গেল হলাম" বলে ফেসবুকে ডিপ্রেশন দেখায় না।

এমন একটা মানুষের ফেসবুক আইডি যাকে কিনা ভুল করেও নক করেন না। অথচ আপনার লিস্টেই আছে মানুষটা। আপনারই পরিচিত। অথচ কখনো হাই, হ্যালো হয়নি।

বাস্তব জীবনের নির্জীব মানুষটা সোশ্যাল সাইটে আরো বেশি নির্জীব। এরা সাধারণত একা একা পথ চলা মানুষ। আমরা বলি অসামাজিক। কিন্তু সামাজিক হতে চেষ্টা করতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেয়ে পড়া মানুষগুলো কখনোই নিজেদের কথাগুলো বলতে পারে না।

এরা ভার্চুয়াল কিং নয়।
বাস্তবেও ক্রেইজ নেই।
কিন্তু ভেতরে আগুন পুষে রাখা মানুষগুলো ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় গিয়ে জ্বলে উঠে।

দেখেছি অনেক।
জাস্ট নিজের মতো করে চলা মানুষগুলোকে তাই অসামাজিক বলাটা উচিত না। কারণ কার মধ্যে কি আছে সেটা আচমকাই বুঝা যায় না।

কাল এক বড় ভাইয়ের বিয়ের ফটো দেখতে গিয়ে আবিস্কার করলাম, এই মানুষটাকে মেয়েরা কখনো চিনতো কিনা সন্দেহ। কোন সিগনিফিকেন্ট চেহারা নয়। কোন আকর্ষণীয় চাল চলন নয়। অথচ নামের পাশে এখন ডেজিংনেশনের বহর। তার সাথে দেখা করতে গেলে অনুমতি লাগে। বিয়ে করেছে একটা পরীকে। অথচ এই ছেলের দিকে কোন মেয়ে তাকাতো কিনা সন্দেহ আছে আমার।

যাই হোক ব্যাপার না!!
অসামাজিক হওয়ার মধ্যে কোন ক্রেডিট নেই। তবে দুম করে কাউকে জাজ করে ফেলাটাও বোকামি। কারণ, প্রতিটা মানুষই স্পেশাল। সময়, সুযোগ আর পরিস্থিতি সাপেক্ষে যে কেউ তার স্পেশালিটি দেখাতে পারে।

অতএব প্রমাণ করো... তুমি কেন স্পেশাল। ক্রাশ পেইজের গল্পে নয়। বরং জীবনের গল্পে নিজেকে প্রমাণ করো।

Arafat Abdullah ( মধ্যরাতের অশ্বারোহী )
University Of Chittagong

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ