
লাইভ প্রতিবেদক: শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে এটি দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা ভারত-বাংলাদেশের উপকূলের কোন একটি স্থান দিয়ে স্থলভাগ পার হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) দেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। এরপর মূলত সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যেটি পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ইতোমধ্যে দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানিয়েছি, ‘অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে হতে পারে। তবে এটি কখন সৃষ্টি হবে, এটি শক্তিশালী হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, একটি সিস্টেমে কয়েকটি ধাপ পার হয়ে তারপর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।’
মনোয়ার হোসেন আরো জানান, ‘এখনও মৌসুমি বায়ু আছে। আমরা বলেছি এ মাসের দ্বিতীয়ার্ধে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। যখন মৌসুমি বায়ু থাকে, তখন কিছু মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, সেগুলো শেষ পর্যন্ত নিম্নচাপেও পরিণত হতে পারে। তবে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিলে তারপর লঘুচাপ সৃষ্টি হলে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’
বঙ্গোপসাগরে কোন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘সিত্রাং’। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। ‘সিত্রাং’ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনের শক্তি অর্জন করতে পারে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যে স্থানে আঘাত করবে সেই স্থানের উপকূলীয় এলাকায় ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসহতে পারে, যদি উপকূলের আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে।
ঢাকা, ০৯ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: