
ইবি লাইভ: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ২০০৯ সালের ২৭ জুন যুবকের কাটা মাথা পাওয়া যায়। আলোচিত সেই হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিহত ওই ব্যাক্তির নাম- লিটন। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ইবির টেন্ডারকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারে সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এই মামলার আরো ২১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আরো ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ইছাহাক আলী মাস্টারের ছেলে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী বাহিনীর এই অঞ্চলের নেতা আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত। এ রায় ঘোষণার সময় আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক রয়েছেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় লিটন। ওইদিন রাতে সে বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্বে পার্শ্বে লিটনের দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বিরোধের জেরে লিটনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওইদিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা, ২৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: