লাইভ প্রতিবেদক: জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় হাইকোর্ট চার জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এছাড়া এই রায়ে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন (২১), সদস্য লিটন মিয়া ওরফে রফিক (২৩), সাখাওয়াত হোসেন (৩২) ও আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব (২৪)। রায়ে খালাস পেয়েছেন জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলী (২৫)।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আহসান উল্লাহ পলাতক রয়েছেন। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বাকি তিন আসামি মাসুদ রানা, ইছাহাক ও লিটন কারাগারে আছেন।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরসেদ। এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মান্না, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন মাসুদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস তাকে সহযোগিতা করেন।
আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. আহসান উল্লাহ ও মো. শামসুল ইসলাম। পলাতক এক আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যার দায়ে জেএমবির পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল আবেদনের বিষয়ে (শুনানি শুরু হয়)। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ সেপ্টেম্বর সেটির শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন। তিনি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারি গ্রামে উন্নত মানের ঘাসের চাষ করতেন। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর ওই কাচু আলুটারি গ্রামে ৬৬ বছর বয়সী কুনিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: