লাইভ প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক অনলাইন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বলেন, সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছি। আন্দোলনের প্রথম ধাপে শিক্ষকদের সমস্যা গুলো নিয়ে আদালতে রিট করা হবে। এরপর সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালিত হবে।
পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধিসহ চার দফা দবিতে আন্দোলনে নামছেন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকরা। অনেক দিন ধরে চলতে থাকা এ বৈষম্যদূরীকরণে শিক্ষকরা একজোট হয়ে আন্দোলনে নামছেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চলতি মাস থেকে শিক্ষকরা আন্দোলন নামবেন বলে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক অনলাইন সমিতি সূত্রে জানা গেছে।
সমিতির একাধিক শিক্ষক জানান, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের বেতন পার্থক্য এক ধাপ থেকে বর্তমানে চার ধাপ হয়েছে। বর্তমানে এ পার্থক্য বেতন স্কেল ও পেনশন বাবদ প্রায় ৮০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই বেতন বৈষম্য দূর করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের নীচের ধাপে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেলের মাধ্যমে দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিতে হবে।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সহকারী শিক্ষকরা কাজ করে আসলেও তাদের পদোন্নতি দেয়া হয় না। এ কারণে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলছেন। আমরা নানাভাবে এসবের প্রতিবাদ জানালেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। এ কারণে আমরা আন্দোলনে যাওয়ার কথা ভাবছি।
শিক্ষকদের চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পরবর্তী গ্রেডে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ, শতভাগ সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি, চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ বেতনক্রম ছাড়া ও প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে বেতন বৈষম্য ৪ ধাপ থেকে ১ ধাপ নিচে বেতন স্কেল নির্ধারণ করা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে।
ঢাকা, ০৭ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: