কুড়িগ্রাম লাইভ: বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। মানুষের মাঝে চলছে নানান সংকট। কুড়িগ্রাম জেলার ৮২২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা চারদিন ধরে খোলা সড়কের ধারে বা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
চরম ভোগান্তিতে কোনরকমে দিনাতিপাত করছেন তারা। বিশুদ্ধ পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রাতে গাদাগাদি করে কোন রকমে রাত পার করছে লোকজন। চাল থাকলেও নেই জ্বালানী। ফলে রান্না এক প্রকার বন্ধ। ফলে বন্যায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি ১১ সে.মি. কমে গিয়ে ৮৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৬ সে.মি. কমে গিয়ে ১৪ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি এক সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভেঙে পড়েছে অভ্যন্তরিন রুটে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ হয়ে গেছে রেল যোগাযোগ।
জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, জেলার ৯ উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের ৮২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪০ কিলোমিটার। পানিবন্দি হয়েছে ৪ লাখ ২২ হাজার মানুষ। ৪২ হাজার ৩৫১ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হওয়ায় প্রায় ৩ লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার মানুষ। ভেসে গেছে ২৩টি ব্রীজ ও কার্লভার্ট। বানভাসী ২৫ হাজার পরিবার ৪০৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার ফলে কুড়িগ্রামের সাথে ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সড়ক ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরায় বিকল্প নৌপথে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৬৫২ হেক্টর চাল, ১৭ লক্ষ ৫ হাজার টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল ও ৫০ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানিয়েছেন।
ঢাকা, ১৫ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: