Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

সাইবার অপরাধে ঝুঁকি বেড়েছে নারী ও শিশুদের

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩, ২২:৩০

গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ

লাইভ প্রতিবেদক: গত পাঁচ বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সাইবার বুলিং তুলনামূলকভাবে কমেছে। একইসাথে কমেছে অভিযোগের সংখ্যাও। তবে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে শিশুরা। এছাড়া ঝুঁকি বেড়েছে নারীদের।

সাইবার স্পেসে ভুক্তভোগীদের দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে শনিবার (২০ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে প্রকাশিত বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই খাতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিক্যাফ) এ তথ্য প্রকাশ করে।

এতে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ৫টি জরিপে সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের মাঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অভিযোগ দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। যা ২০১৮ সালে ছিল ৬১ শতাংশ। বর্তমানে তা নেমে দাড়িয়েছে ২০.৮৩ শতাংশে। তবে দেশে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন ধরনের অপরাধের মাত্রা বেড়েছে ৩৮১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে সম্প্রতি নতুন ধরনের অপরাধের মাত্রা বেড়েছে। ২০১৫-২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ১১টি ট্যাবে করা তথ্যে অপরাধের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে যেখানে অন্যান্য অপরাধ ছিল ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। ২০২৩ সালে প্রতিবেদনে এটি বেড়ে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে নানা মাত্রিক প্রতারণা। প্রতারণাগুলো হচ্ছে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস এবং অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহকারী স্বর্ণা সাহা। তিনি বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হলেও বিগত পাঁচ বছরে তুলনামূলকভাবে কমছে সাইবার বুলিং সংশ্লিষ্ট অপরাধের ঘটনা। ২০২২ সালে ৫২ দশমিক ২১ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ৫৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। সামাজিক মাধ্যমসহ অন্যান্য আইডি হ্যাকিংয়ের ঘটনাগুলোও ধারাবাহিকভাবে কমলেও আর্থিক সংশ্লিষ্ট প্রতারণা থেমে নেই। ২০২২ সালে ভুক্তভোগীদের ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশই অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমের আইডি হ্যাকিংয়ের শিকার সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশই নারী। তারপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে অভিযোগের হার দিন দিন কমছে। ২০১৮ সালের জরিপে যেখানে অভিযোগকারীর শতকরা হার ছিল ৬১ শতাংশ, ২০২৩ এ গিয়ে তা কমে ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশে নেমেছে।

এ ছাড়াও ২০২৩ সালের জরিপে ভুক্তভোগীদের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের নিচে, যা ২০১৮ সালের জরিপের তুলনায় ১৪০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি (২ শতাংশের বেশি) অপপ্রচারের শিকার হয় শিশুরা। বয়সভিত্তিক অপরাধের ধরনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে তরুণরা (১৮-৩০ বছর) সর্বোচ্চ (১২ শতাংশের বেশি) একই ধরনের অপরাধের শিকার।

সিক্যাফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ জরিপে ভুক্তভোগীদের ৭৫ শতাংশের বয়সই ছিল ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ২০১৮ সালের জরিপ থেকে এ পর্যন্ত একাধারে এই বয়সী ভুক্তভোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্টে অপপ্রচার ও আইডি হ্যাকিংয়ের শিকার।

সংগঠনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঞা, বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাসিম পারভেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদা রওনক খান, সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতাবিষয়ক জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশের সদস্য প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান।

ঢাকা, ২০ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমবি//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ