Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বাধ্যতামূলক অবসরে উপ-সচিব রেজাউল রতন

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বার ২০২২, ০২:৫৭

এ কে এম রেজাউল করিম রতন

লাইভ প্রতিবেদক: অসদাচরণের অভিযোগে বাধ্যতামূলক উপ-সচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ধর্ষণ মামলার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। এরপর বিভাগীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারালেন তিনি।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় মামলায় ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে এ উপ-সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণ দেখানো হয়েছে। উপ-সচিব রেজাউল রতন শিক্ষা ক্যাডারের ১৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেছিলেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এ কে এম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় ও এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং শুনানিতে তার দাখিল করা জবাব ও বক্তব্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করতে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা শেষে বিধি মোতাবেক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড প্রদানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে বিধি মোতাবেক তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তার দাখিল করা দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পর্যালোচনা করে তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রস্তাবিত গুরুদণ্ড আরোপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন প্রস্তাবিত গুরুদণ্ড দেওয়ার সিন্ধান্তের সাথে ঐকমত্য পোষণ করে।

এতে আরও জানানো হয়, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন প্রস্তাবিত দণ্ডের সাথে ঐকমত্য পোষণ করায় একই বিধিমতে গুরুদণ্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ দেওয়া হলো।

ঢাকা, ২৩ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ