লাইভ প্রতিবেদক: বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আট দেশের সাথে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ট্রিটি (এমএলএটি) চুক্তি চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই চুক্তি মূলত সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ সরকার করবে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি দুদক থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে, দুদকের চিঠিতে ওইসব দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আটটি দেশ হলো- কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ড।
দুদক সচিব বলেন, ওইসব দেশের সঙ্গে চুক্তি হলে দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহায়তার মাধ্যমে অর্থ পাচার সংক্রান্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ, রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা যাবে। পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের এক সভায় চুক্তির পক্ষে মত দেওয়া হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) একজন পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি পাচার অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে খসড়া চুক্তিনামা তৈরি করবে। পরে বিএফআইইউ খসড়া চুক্তিনামাটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাবে। এই বিভাগ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সভা করে খসড়া চুক্তিনামাটি চূড়ান্ত করবে। এরপর এটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় সমন্বয় কমিটিতে পাঠানো হবে।
আট দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি এনসিসি পর্যালোচনা করে সরকারকে অবহিত করবে। পরে সমন্বিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একটি মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ওই মন্ত্রণালয় ওইসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে, প্রয়োজনে বৈঠক করে যৌথভাবে চুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর দুদক ওইসব দেশ থেকে অর্থ পাচার সংক্রান্ত তথ্যসহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করতে পারবে।
ঢাকা, ০৮ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: